Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে দর্জিদের চোখে ঘুম নেই

সৈয়দপুর (নীলফামারী) ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ঈদের পোশাক বানানোর হিড়িক পড়ে যায় রমজানের শুরুতেই। তাই এবারও যথারীতি ব্যস্ততা বেড়ে গেছে সৈয়দপুরে দর্জির দোকানগুলোতে। সুই আর সুতার অপূর্ব বিন্যাসে অবিরত কাজ চলছে প্রতিটি দোকানে। শুধু দিনে নয়, কাজ চলছে দিনরাত ২৪ ঘন্টাই। তারপরও যথাসময়ে অর্ডার সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা। শহরের ঘিঞ্জি গলি, পাড়া-মহল্লায় দর্জির দোকানে ব্যস্ততার একই দৃশ্য। সামান্য কথা বলারও সময় নেই তাদের। কাজের অর্ডার নেওয়া, পোশাকের মাপ নেওয়া, তৈরি করা পোশাক সরবরাহ করাসহ পোশাক সেলাইয়ের নানা কাজে মহাব্যস্ত তারা। সময় নেই একরত্তিও। অধিকাংশ দোকানেই নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন অর্ডার। কোনো কোনো দোকানে ইতিমধ্যে তৈরি হয়ে যাওয়া জামা-কাপড় ডেলিভারিও শুরু হয়ে গেছে। তবে কিছু দোকানে নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে এরই মধ্যে। ফলে হতাশ হয়ে ফিরছেন অনেকেই।
শহরের দর্জি দোকানগুলো ঘুরে দু’ধরনের চিত্র পাওয়া গেছে। কিছু দোকান ইতিমধ্যে অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আবার অনেকে বলছে ২০/২২ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নেওয়া হবে। যেসব দর্জি অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে তাদের অধিকাংশ কারিগর সংকটে ভুগছেন। তবে সব দোকানে একই চিত্র সেলাই মেশিনের একটানা শব্দে মুখরিত প্রতিটি দোকান। দিনরাত অক্লান্ত শ্রমে একটানা কাজ করে যাচ্ছেন তরুণ থেকে মধ্য বয়সী সব দর্জি। দর্জিদের ঈদের হালহকিকত নিয়ে কথা বলি শহরের কয়েকটি টেইলার মালিকের সাথে।
হেনা টেইলার্স’র মালিক মোঃ কামাল, পারফেক্ট টেইলার্সের মালিক মাহমুদ, জাহিদ হাসান, এস হাসান টেইলার্সের মালিক, সৌখিন টেইলার্স (লেডিস) এর মালিক আইয়ুব আলী, মতি টেইলার্স, টুডে টেইলার্সের মালিক মো. জামাল, সানমুন টেইলার্সের মালিক মো. জাবেদ ও মহল্লার দোকান কামরান টেইলার্সের মালিক মো. কামরানের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবার রমজানের শুরু থেকেই তাদের অর্ডার ভালই হচ্ছিল। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে হঠাৎ করে বাজারে মন্দাভাব দেখা যায়। তবে তাদের ধারণা, এবার গত বারের চেয়ে ভাল ব্যবসা করবেন তারা। পুরুষ টেইলার্সের দোকানগুলোর অবস্থা লেডিস টেইলারিং দোকানগুলোর চেয়ে ভাল। লেডিস টেইলারিং মাস্টার জানান, মেয়েরা সাধারণত লেটেস্ট কাপড়ের অপেক্ষায় থাকে ফলে আমাদের ২৫ রমজান পর্যন্ত অর্ডার নিতে হয়। পুরুষ টেইলারিং শপের অধিকাংশ ২০ রমজানের পর আর অর্ডার নিবেন না। তবে কয়েকজন টেইলার মাষ্টার জানান, বাজার এবার ভালই ছিল কিন্তু কারিগরের অভাবেই তাদের ভাল ব্যবসা না হওয়ার কারণ। জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় সব দোকানেই সেলাইয়ের মজুরি বেড়ে গেছে। মজুরি বাড়ার ব্যাপারে তারা জানান, বকরম, বোতাম, সুতাসহ সব জিনিসেরই দাম বেড়ে গেছে তাছাড়া এবার কারিগররাও তাদের মজুরি বাড়িয়ে দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দর্জিদের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ