রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা
ফটিকছড়ির সমিতিরহাট ইউপি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক সৈয়দ জাহেদ উল্লাহ কুরাইশীকে জোরপূর্বক রাতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানোয় গত শনিবার ফটিকছড়িতে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এর প্রতিকার দাবি করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে অতিদ্রুত জোরপূর্বক নেয়া মনোনয়ন প্রত্যাহারপত্র বাতিল, জরুরি ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক তাকে প্রার্থী হিসেবে পুনর্বহাল করার দাবি জানানো হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ২৯ মার্চ মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইতে বৈধ বিবেচিত হবার পর থেকে আমার উপর নানামুখী চাপ শুরু হয়। তিনি বলেন, আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুনুর রশিদ কালু আমাকে বেশ ক’বার ফোন দিয়ে সমঝোতার প্রস্তাব দেয়। গত ৪ এপ্রিল রাতে আ.লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আমাকে পুনরায় ফোন করে বলেন ‘অন্য সব প্রার্থী’ প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। তাই আমাকেও সমঝোতায় যেতে হবে। আমি অনীহা প্রকাশ করি। এরপর থেকে পুরো সমিতিরহাট এলাকায় আমিসহ অন্যান্য প্রার্থীদের নেতা-কর্মী, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজনের উপর প্রচ- চাপ শুরু হয়। উপায়ান্তর না দেখে আমি গত ৫ এপ্রিল ফটিকছড়ি ছেড়ে বান্দরবান চলে যাই। পরদিন ৬ এপ্রিল সকালে জানতে পারি প্রচ- চাপে অন্যসব প্রার্থীকে মনোনয়ন প্রত্যাহারে বাধ্য করা হয়। সবশেষে আমাকে আল্টিমেটাম দেয়া হয় ৫টার মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে পরিণতি ভয়াবহ হবে। সর্বশেষ ফটিকছড়িতে শক্তিশালী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আ’লীগের এক নেতার ফোন পেয়ে আমি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারে যেতে বাধ্য হই। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ৭ এপ্রিল দুপুরে ফটিকছড়ি থানায় একটি জিডি করি এবং ই-মেইল যোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরবারে অভিযোগ দায়ের করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।