রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গাইবান্ধা জেলা সংবাদদাতা
গাইবান্ধা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃক কৃষকের সেচ পাম্প মালিকদের নামে অবৈধ বিদ্যুৎ বিল বন্ধ ও সংশোধনের দাবিতে গত রোববার শত শত কৃষক বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও করে। সিস্টেমলস কম দেখানোর উদ্দেশ্যে পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী কৃষকের পাম্প ও ডিলারদের নামে মনগড়া অবৈধ বিদ্যুৎ বিল প্রদান করে। সরকারি বিধি মোতাবেক বোরো মৌসুমে ১২০ দিন সেচ পাম্পের ব্যবহৃত ইউনিটের বিল করার কথা থাকলেও কিন্তু তা না করে ১২ মাসের ইউনিটের বিল করা হয়। ফলে কৃষকরা অতিরিক্ত ৪ গুণ ইউনিটের বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হয়। কৃষকরা এসব অতিরিক্ত ইউনিটের বিল সংশোধন ও ভুয়া বিল বন্ধ করার দাবি জানায়। ঘেরাও কর্মসূচি চলাকালে বক্তব্য রাখেন কৃষক সিরাজুল ইসলাম, আব্দুর রহিম, জাহাঙ্গীর আলম, মাসুদ রানা, রেজাউল হক, আব্দুস সালাম, সোলায়মান মিয়া, স্বপন মিয়া প্রমুখ। অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে কৃষকের নামে ৪ কোটি টাকা বিল করা হয়েছে। কৃষকরা জানায়, ১ কোটি টাকারও নিচে এই বিল হবে। কিন্তু নির্বাহী প্রকৌশলী জুলকার নাইন শফি মাঠপর্যায়ে না গিয়ে দপ্তরে বসেই সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের কাজে হস্তক্ষেপ করে তিনি নিজেই এসব ভুয়া বিল করতেন। এই অতিরিক্ত বিলের বোঝা কৃষকেরকেই বহন করতে হয়। এরই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে স্ব উদ্যোগে কৃষকরা প্রতিকার চেয়ে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ঘেরাও করে। পরে পিডিবির রংপুর বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে এই অবৈধ বিল সংশোধনের আশ্বাস দেন। এই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে কৃষকরা তাদের ঘেরাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। সহকারী প্রকৌশলী শাহিন জানান, গত ৭ বছরে পিডিবির লাইন বর্ধিত হওয়ায় সে অনুযায়ী জনবল বাড়েনি। এখানে জনবলের অভাবের কারণে এসব অনিয়ম হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।