বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ক্ষমতাসীনদের রক্তচক্ষু ও পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্কে যেখানে কুমিল্লার মুরাদনগর বিএনপির নেতাকর্মীরা বাড়িঘরে থাকতে ভয় পায়, সেখানে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে লেজুরবৃত্তি করে শ্রমিকদল সভাপতির প্রকাশ্যে উঠাবসা, দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধাচরণ, সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষার ঘটনায় উপজেলা বিএনপিতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতারা দলের মধ্যে থেকে যারা আওয়ামী লীগ নেতাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের একটি হাইব্রীড গ্রুপের সঙ্গে মুরাদনগরের বাসিন্দা কেন্দ্রিয় শ্রমিকদল নেতার গোপন কানেকশন বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছে বলে অভিযোগ করেছেন মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মোল্লা। গতকাল কুমিল্লা প্রেসক্লাবে তৃণমূল নেতাদের সাথে নিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন। উপজেলা বিএনপির এ নেতা বলেন, কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলা সদরের বাসিন্দা ও ঢাকা দক্ষিণের শ্রমিকদল সভাপতি কাজী আমীর খসরু কেন্দ্রিয় রাজনীতি ফেলে উপজেলায় সময় দিচ্ছেন বেশি। তাও বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নয়। তিনি প্রকাশ্যে মুরাদনগর আওয়ামী লীগের একটি হাইব্রীড গ্রুপের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলে নিজেকে হামলা-মামলা থেকে নিরাপদ রেখে উপজেলা বিএনপির ক্ষতি করছেন। প্রতি শুক্রবার কাজী আমির খসরু মুরাদনগর এসে থানার সামনে খলিলের হার্ডওয়্যার দোকানে বসে আওয়ামী লীগের একটি গ্রুপের নেতাদের সাথে জমিয়ে আড্ডা দিবে এবং মুরাদনগর বিএনপির তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধাচরণ করবে। কেবল তাই নয়, মুরাদনগর বিএনপির প্রাণপুরুষ সাবেক এমপি কায়কোবাদের বিরুদ্ধেও আওয়ামী লীগের লোকজনের কাছে কুৎসা রটায়। মুরাদনগরে বিএনপির কোন নেতার ছবি, ব্যানার, ফেষ্টুন টানানো যায়না। কিন্তু কাজী আমির খসরু আওয়ামী লীগের হাইব্রীড গ্রুপকে ম্যানেজ করে নিজের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন। ঢাকায় আন্দোলন কর্মসূচির সময় তিনি মুরাদনগরে এসে পড়ে থাকেন। আর মুরাদনগর বিএনপিকে কোনঠাসা রাখতে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নের ষড়যন্ত্র করেন। মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, কেবল কাজী আমির খসরুই নয়, কেন্দ্রিয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য একরামুল হক বিপ্লবেরও সখ্যতা রয়েছে এখানকার আওয়ামী লীগের সঙ্গে। বিপ্লবের বাড়ি মুরাদনগরের চাপিতলা ইউনিয়নের পুষ্কুরিনীরপাড়। তাদের গোটা পরিবার আওয়ামী লেিগর রাজনীতির সাথে জড়িত। তার বাবা ওবায়েদ মাষ্টারও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা। ঢাকা থেকে এসব নেতারা মুরাদনগরে এসে বিএনপির বিরোধিতা করেন। কেন্দ্রিয়ভাবে তাদের ব্যাপারে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান মুরাদনগর বিএনপির নেতারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।