Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাক্তারের অবহেলায় রোগী মরণফাঁদে

রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৮, ৯:২৫ পিএম

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে লাইসেন্সবিহীন মা ও শিশু হাসপাতালের ডাক্তারের অবহেলায় প্রসুতিমার মরণদশার খবর পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীরা জানান, গত শুক্রবার রাত ৮ টায় উপজেলা সন্ধারই (সাতঘরিয়া) গ্রামের একরামের স্ত্রী মোছাঃ তহবিনা (৩৫) কে মা ও শিশু হাসপাতালে সিজার করা হয়। পরে তাকে কর্তব্যরত নার্স শাহনাজ (এবি+) এর পরিবর্তে (ও+) রক্ত পুশ করে। সঙ্গে সঙ্গে তার জ্বালাযন্ত্রনা শুরু হয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন সংশ্লিষ্ট ডাক্তার কর্মচারীদের আধাঘন্টা ঘরের মধ্যে তালা বন্ধকরে অবরুদ্ধ করে রাখে প্রায় । পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এব্যাপারে ডাক্তার আবুল কাশেম নিশ্চিত করে বলেন, নার্স ভূলবসত অন্যরোগীরর রক্ত তহবিনা নামক রোগীরকে পুশ করেছে। পরে রোগীরর লোকজন তাদের উপর আস্থা রাখতে পারেনি। ফলে রোগীরকে রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে রোগীরর শারিরীক অবস্থা উন্নতি হয়েছে। তিনি বলেন, মা ও শিশু হাসপাতালের লাইসেন্স অল্পসময়ের মধ্যে পেয়ে যাবো।



 

Show all comments
  • মোঃএমাদাদউল্লাহ ২৯ অক্টোবর, ২০১৮, ৯:২৯ এএম says : 0
    অত্তন্ত দুংখের সাথে বলছি এখনকার যত ডাঃ আছে এরা আসলেই কসাই বললে ছোট হয়ে যায় এর চেয়ে ও খারাপ।যেমন এ মাসের ০১/১০/২০১৮ তারিখে আমার আব্বুকে নিয়ে ডাকা মেট্রোপলিটান মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে গিয়েছিলাম।যাওয়ার সময় যে লোকে কুমিল্লা থেকে ডাকা সায়দাবাদ।সায়দাবাদ থেকে এক সি এন জিতে করে আমরা ৫ জন মানে রুগি সহ ৪ জন পিছনে বসল। এর মাজে মারাত্মক জ্যাম ৩০ মিনিটের রাস্তা প্রায় চার ঘন্টা লাগছে মহাখালীতে যাইতে।যাই হক নিয়ে প্রথমে ভর্তি করাইছে প্রথমে ২৮০০ টাকা নিয়েছে।তারপর ও দিন নাকি ডাঃ আসবে না পরের দিন বিকালে আসবে।দেখুন এখানে এ দু দিন সিট ভারা ডেলি ২৫০০ টাকা এ দিকে রুগির অবস্থা ত আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে।ওয়ারড ডাঃ এদের কে কয়েকবার বললে পরে আসে এসে দেখে যায় আর প্রেসার মেপেই যায় আর বিল উঠায় এটাই কি তাদের চিকিৎসা। পরের দিন ডাঃ এসে কয়েকটা পরিক্ষা দিল সব গুলো করিয়েছি মাগার রোগ ধরা পরে না।এ দিকে রুগি প্রায় চলে যায় অবস্থা দিন যায় আর এ ভাবে ৬ দিন রাখা হল ওখানে। মাগার ডাঃ কসাই সাহেব এরা এক বার ও বলে নাই আপনারা অন্য যায়গায় নিয়ে চেস্টা করেন।শেষ প্রয্যন্ত ৭ দিনের মাথায় ভাল রুগি লাশ হয়ে বারিতে ফিরিতে হল।এটাই কি এদের চিকিৎসা এরা নিজেদের সারথ দেখে।এরা মানুষের সেবা থাক দুরের কথা কখন কুটিপতি হবে সে চিন্তায় মশগুল থাকে।আল্লাহ যেন তাদের কে উপযুক্ত বিচার করেন।যে দিন সি সি ইউর মদ্দে রাখা হল সে দিন ও ওরা বলে না যে এখানে হবে না আর ভাল যায়গায় নিয়ে যান।আমরাই জোর করেই নিয়েছিলাম ইসলামি হাসপাতালে ওখানে রুগি রাখে নাই।ওরা হলিফ্যামিলিতে পাঠাল ওখানে ভর্তি করালাম ইমারজ্যান্সিতে ১০ হাজার টাকা দিয়ে ব্যাস এক ঘন্টা পরে আব্বু আল্লাহর ডাকে চলে গেল ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।আল্লাহ সবাইকে হেদায়াত করুন আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডাক্তারের অবহেলা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ