Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদে ফেরিতে লক্ষাধিক যানবাহন ও ৫ লাখ যাত্রী পারাপারে প্রস্তুতি

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:৫২ পিএম, ৯ জুন, ২০১৮

ঈদ-উল-ফিতরের আগে ও পড়ে ঢাকা ছাড়াও পূর্বাঞ্চলের সাথে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক পরিবহনকে নির্বিঘ্ন রাখতে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সবগুলো ফেরি রুটে বাড়তি যানবাহন পারাপারে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। দেশের প্রধান দুটি ফেরি রুটসহ সবগুলো রুটে ঈদের আগে-পড়ে লক্ষাধিক যানবাহন সহ প্রায় ৫ লাখ যাত্রী পারাপার করবে বিআইডব্লিউটিসি। যানবাহনের বাড়তি চাপ সামাল দিতে বিভিন্ন ধরনের প্রায় ৪০টি ফেরি নিয়োজিত থাকছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম-বরিশাল-খুলনা/মংলা মহাসড়কের ভোলা-লক্ষীপুর ও ভোলা-বরিশাল ফেরিতে যানবাহন পারপারে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে ফেরির অভাবে যানবাহন পারাপার কিছুটা বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি মাদারীপুর-শরিয়তপুর সড়কের বেহাল দশার কারনে যানবাহন চলাচল প্রায় বন্ধ থাকায় চাঁদপুর-শরিয়তপুর ফেরি পারাপারও প্রায় বন্ধ রয়েছে।
তবে এসব কিছুর পরেও আসন্ন ঈদ উল ফিতরের আগে পড়ে বিআইডবিøউটিসি প্রতিদিন গড়ে ন্যুনতম ১২ হাজার যানবাহন পারাপারের সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। গত বছরও ঈদের আগে পড়ের দশ দিনে সংস্থাটির ফেরি বহর লক্ষাধিক যানবাহন পারাপার করে। সংস্থাটি তার জন্মলগ্ন থেকে রাজধানী ও সন্নিহিত এলাকার সাথে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার সড়ক পরিবহন খাতে এক ‘চলন্ত সিড়ি’র ভূমিকা পালন করে আসছে। সংস্থাটির বহরে এখন প্রায় ৪৫টির মত নতুন ও পুরনো ফেরি রয়েছে। তবে এবার ঈদের আগের ঘরমুখী যাত্রী নিয়ে যানবাহনের চাপ বাড়বে ফেরি ঘাটগুলোতে। সেক্ষেত্রে আবহাওয়া বৈরী হলে ফেরি পারপারে সংকট সৃষ্টির আশংকা থাকতে পারে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনা করেই ফেরি সহ সব নৌযান চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়। ঈদের ভীড় সামাল দিতে আরিচার পাটুরিয়ার-দৌলতদিয়া রুটে গতকাল পর্যন্ত ৯টি রো-রো ও ৬টি ইউটিলিটি সহ ১৯টি ফেরি চলাচল করছিল। আরো ২টি রো-রো ফেরি আজকের মধ্যেই বহরে যূক্ত হবে । ফলে যানবাহন পারপারে তেমন কোন সমস্যা নেই।
অপরদিকে মাওয়াতেও গতকাল পর্যন্ত ১৭টি ফেরি চলাচল করছিল। আরো ২টি ফেরি বহরে যুক্ত হবে দু-একদিনের মধ্যেই। গতকাল পর্যন্ত ৪টি রো-রো, ৫টি কে-টাইপ, ৬টি ডাম্ব ফেরি ও ২টি মিডিয়াম ফেরি চলাচল করছিল। এ ছাড়াও আজকালের মধ্যে আরো ১টি ডাম্ব ও একটি কে-টাইপ ফেরি যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। মাওয়া কাঠালবাড়ী ও শিমুলিয়া প্রান্তে পদ্মার দু পাড়েই ৪টি করে ফেরি ঘাট সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজিএম খালেদ নেওয়াজ।
অপরদিকে চট্টগ্রাম-বরিশাল-খুলনা/মোংলা মহাসড়কের ভোলা ও লক্ষীপুরের মধ্যবর্তী ইলিশা-মজুচৌধুরীর হাট ফেরি রুটে গতকাল সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ৩টি কে-টাইপ ফেরির সাহায্যে ২শ’ যানবাহন পারাপারের পরেও শতাধিক অপেক্ষমান ছিল। ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের সর্বাধিক দৈর্ঘ্যরে এ ফেরি সেক্টরে কমপক্ষে ৫টি সচল ফেরি প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র ৩টি। ঐ একই মহাসড়কের ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তী ভেঁদুরিয়া-লাহারহাট ৩টি ইউটিলিটি ফেরির ১টি প্রায়ই বন্ধ থাকছে। ফলে সেখানে জরুরী ভিত্তিতে ‘কেতকী’ নামের একটি কে-টাইপ ফেরি দেয়া হলেও তা আজকালের মধ্যে মাওয়ায় নিয়ে যাবার সম্ভবনা রয়েছে। গতকাল সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টায় ভেদুরিয়া-লাহারহাট সেক্টরে ২৮৮টি যানবাহন পারাপারের পরেও শতাধিক অপেক্ষমান ছিল। তবে এসব কিছুর পরেও বিআইডব্লিউটিসি আসন্ন ঈদ উল ফিতরের আগে পরের অন্তত ১০ দিনে লক্ষাধিক যানবাহন সহ অন্তত ৫ লাখ যাত্রী পারপারের লক্ষ্যে প্রস্তুতি রয়েছে বলে দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ