Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাজেট ২০১৮-১৯: হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশ ঘটবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রস্তাবিত বাজেট দেশের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশকে ত্বরান্বিত করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা। প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে তা স্থানীয় পর্যায়ে মোবাইল ফোনের মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে, হাউজিং অ্যান্ড কেসিং, ব্যাটারি, চার্জার, এয়ারফোনসহ সকল প্রকার অ্যাক্সেসরিজ উৎপাদন শিল্পের জন্য সহায়ক হবে। এর ফলে এ খাতে দেশীয় বিনিয়োগ বাড়বে, বিদেশ নির্ভরতা হ্রাস পাবে এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। গত বৃহস্পতিবার র্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত তাঁর বাজেট বক্তৃতায় দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদন কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে বেশকিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। এর মধ্যেমোবাইল ফোন উৎপাদনের ওপর সারচার্জ অব্যাহতি দিয়ে ফোনসেট আমদানিতে ২ শতাংশ সারচার্জ আরোপ, ব্যাটারি ও চার্জার আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং দেশে মোবাইল ফোনসেট উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি সুবিধা দিয়ে একটি আলাদা প্রজ্ঞাপন জারির কথা বলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেট স্বাগত জানিয়েছেন দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্পের উদ্যেক্তারা। তারা প্রস্তাবিত বাজেট দেশীয় প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদন শিল্পের জন্য সহায়ক বলে বিবেচনা করছেন। তাদের মতে, দেরিতে হলেও সরকার এ বিষয়ে উপযুক্ত নীতি গ্রহণ করেছে। প্রযুক্তি খাতে অগ্রাধিকার এখন সময়ের দাবি। এর ফলে দেশে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্পের বিকাশ ঘটবে।
কম্পিউটার অ্যান্ড মোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার অ্যান্ড এক্সপোটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (প্রস্তাবিত)-এর মহাসচিব মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন (এসিএস) বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশে মোবাইল ফোনের ভ‚মিকা গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তাবিত বাজেট দেশীয় মোবাইল ফোন উৎপাদন শিল্পের জন্য খুবই সহায়ক হবে, হাই- টেক শিল্প বিকাশের পথ সুগম হবে। দেশে মোবাইল হ্যান্ডসেট উৎপাদন পর্যায়ে মূসক অব্যাহতির সুবিধা দিয়ে অর্থমন্ত্রী যে আলাদা প্রজ্ঞাপন জারির প্রস্তাব করেছেন, তা বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় পর্যায়ে মাদারবোর্ড, ডিসপ্লে, হাউজিং অ্যান্ড কেসিং, ব্যাটারি, চার্জার, এয়ারফোনসহ সকল প্রকার অ্যাক্সেসরিজ উৎপাদন শিল্পের জন্য সহায়ক হবে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, বিশেষ করে মোবাইল ফোন উৎপাদকদের জন্য এটি প্রণোদনা হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন খাতে দেশী-বিদেশি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। দেশে ডিজিটালাইজেশনের গতি বেগবান হবে। দেশেই তথ্যপযুক্তি পণ্য তৈরি হলে ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। দক্ষ কর্মী তৈরি হবে। যা প্রকৃতপক্ষে দেশ ও জাতির সামগ্রিক কল্যাণ বয়ে আনবে। উদ্যোক্তারা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে সুরক্ষা পাবে বিনিয়োগ। এ খাতে প্রকৃত উৎপাদক সৃষ্টি হবে। দেশেই নিজস্ব তত্ত¡বধানে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে মোবাইল ফোন ও এর খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি সম্ভব হবে। দেশে আরো বেশি হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার শিল্প গড়ে উঠবে। কমে আসবে উৎপাদিত প্রযুক্তিপণ্যের প্রান্তিক উৎপাদন খরচ। যার সুফল পাবেন ক্রেতারা।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কেবিএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ফোনসেট আমদানিতে সারচার্জ আরোপ এবং ব্যাটারি ও চার্জার আমদানিতে ১৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ানো দেশে মোবাইল ফোনসেট উৎপাদনে সহায়ক হবে। আর এ শিল্পের বিকাশ হলে বেকারত্ব কমবে। বিপুলসংখ্যক যুবকের কর্মসংস্থান হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাজেট

১৩ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ