Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশের সঙ্গে করা সমঝোতার ভিত্তিতেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন -সু চি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৮, ২:৪৩ পিএম

রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে মিয়ানমার সরকার বিদেশি আইন বিশেষজ্ঞসহ অন্যদের পরামর্শ নেবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্টেট কাউন্সিলর তথা কার্যত রাষ্ট্রপ্রধান অং সান সুচি। সেইসঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তির ভিত্তিতেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার জাপানি গণমাধ্যম আশাহি শিম্বুনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সু চি এসব কথা বলেন।

বিশেষ ওই সাক্ষাৎকারে সুচি মিয়ানমারের অনেক বাসিন্দার নিরাপত্তা ঝুঁকি, তার ভাষায়, সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে উৎসাহিত করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন।

গত বছরের আগস্ট মাসে দেশটির রাখাইন রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর সেনাবাহিনীর সাঁড়াশি অভিযান শুরুর পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে মিয়ানমার। বিশেষ করে, সমালোচনার মুখোমুখি হন শান্তিতে নোবেল জয়ী সুচি।

নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকটি চেক পোস্টে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই জাতিগত নিধন, জাতিসংঘের ভাষায়, অভিযান শুরু করে বার্মিজ আর্মি। বর্বর ওই অভিযানের শিকার হয়ে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।

কিন্তু তারপরও বিষয়টির মীমাংসা করতে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে উদাসীন ছিল নেইপিদো। তবে গত ৬ মার্চ দেশটিতে জানিয়েছে, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে তারা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) সঙ্গে কাজ করবে।

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ব্যাপারে সুচি বলেন, রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের ব্যাপারে বাংলাদেশের সঙ্গে যে সমঝোতা হয়েছে সে অনুযায়ী আমরা অগ্রসর হব।

এর আগে মে মাসের শেষ দিকে মিয়ানমার সরকার জানায়, তারা একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করবে, যেখানে থাকবে বিদেশি আইন বিশেষজ্ঞ। আর এই কমিটি রোহিঙ্গাদের মানবাধিকারের বিষয়টি তদন্ত করবে।

ওই কমিটির প্রতি ইঙ্গিত করে সুচি বলেন, ‘আমরা মনে করি, ওই তদন্ত কমিটি যেসব সুপারিশ করবে, রাখাইনের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধানে তা কার্যকর ভূমিকা রাখবে।’

একই সঙ্গে রাখাইনের রোহিঙ্গা ও বৌদ্ধদের মাঝে অবিশ্বাসের দীর্ঘ ইতিহাসের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমরা রাতারাতি শান্তি ফেরাতে পারব না।

রোহিঙ্গারা সম্ভাব্য যে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন সে বিষয়ে সুচি বলেন, ‘দেশের সকল মানুষের, বিশেষ করে স্পর্শকাতর এলাকার, নিরাপত্তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। আর এ জন্যই আমরা কমিউনিটি পুলিশিং এবং নিরাপত্তা বাহিনীর যথাযথ প্রশিক্ষণের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।’

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মিয়ানমার সরকারের যে তীব্র সমালোচনা করেছে সে বিষয়ে অং সান সুচি বলেন, ‘প্রত্যেক সমস্যার বিভিন্ন দিক থাকে। সুতরাং তাদের ব্যাখ্যা তাদের ব্যাপার। আর আমাদের ব্যাখ্যা আমাদের। দুটো যে একই হতে হবে এমন নয়।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সু চি

১১ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ