পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
প্রস্তাবিত বিশাল বাজেটের ব্যয়ের প্রায় ৭৩ শতাংশ অর্থই রাজস্ব খাত থেকে আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এনবিআরের মাধ্যমে কর হিসেবে দুই লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা আদায় করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি। অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে উচ্চভিলাষী এই রাজস্ব বাড়ানোর প্রত্যাশী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তাই আগামী পাঁচ বছরে আয়করদাতার সংখ্যা এক কোটিতে নিয়ে যাওয়ার আশা করছেন। গতকাল জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন, তাতে তিনি এ ঘোষণা দেন। নানা তৎপরতায় গত কয়েক বছরে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা ৩৫ লাখ ছাড়িয়েছে; অর্থমন্ত্রী এই ধারা এগিয়ে নিতে চান। বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, কর আদায় এখন হয়রানিমূলক উপাখ্যান হিসেবে বিবেচিত হয় না। কর ভিত্তি এখন অনেক স¤প্রসারিত, নিবন্ধিত করদাতা ও রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়েও বেশি হারে বেড়েছে। ‘আগামী ৫ বছরের মধ্যে নিবন্ধিত করদাতার সংখ্যা এক কোটি এবং রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ৮০ লাখে উন্নীত করা যাবে বলে আমি আশা করি।’ সরকারের মেয়াদের শেষ বছরের এই বাজেটে কর মোটের উপর না বাড়লেও করদাতার সংখ্যা বাড়িয়ে সেই ঘাটতি মেটাতে চান মুহিত। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখার জন্য অভ্যন্তরীণ উৎস হতে পর্যাপ্ত রাজস্ব আহরণ প্রয়োজন। ‘করহার না বাড়িয়ে কর ব্যবস্থার সংস্কার করে কর ভিত্তি সমপ্রসারণ ও স্বেচ্ছা পরিপালনের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।’ আয়কর ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা, বিশেষ করে কর প্রদানে তরুণদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অত্যন্ত ইতিবাচক বার্তা দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী।
আয়করের ক্ষেত্রে করসেবার পরিধি বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে মুহিত বলেন, সারাদেশ জুড়ে আয়কর মেলার আয়োজন হচ্ছে, যেখানে করদাতাগণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে অংশগ্রহণ করছেন। এ বছরের করমেলায় প্রায় ২ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন; প্রায় ৯ লাখ মানুষ করসেবা নিয়েছেন। কর প্রশাসনে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার বাড়িয়ে কর ব্যবস্থাপনাকে সম্পূর্ণ অটোমেটেড ও ডিজিটালাইডজ করার উদ্যোগ নেওয়ার কথাও জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন খুব ভালোভাবে কাজ করছে। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা আরও সমৃদ্ধ করার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করবেন আশা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।