Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সরকারের বাজেট দেয়ার বৈধতা আছে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে -মওদুদ আহমদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৮, ৬:০৩ পিএম | আপডেট : ৬:০৪ পিএম, ৮ জুন, ২০১৮

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ সরকারের বাজেট দেয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, এই বাজেটের মধ্যে বিরাট অংশ দুর্নীতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বাজেট। যে সরকার বাজেট দিয়েছে আমরা তাদের বৈধতাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছি। এই সরকারের বাজেট দেয়ার বৈধতা আছে কিনা সেটা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। এই সংসদে ১৫৪ জন নির্বাচিত হননি। একটি অনির্বাচিত সরকারের এই ধরনের বাজেট দেয়ার কী বৈধতা আছে এটা ইতিহাস একদিন পরীক্ষা করে দেখবে এবং তার রায় দেবে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের আয়োজনে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন: সরকারের ভূমিকা ও জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট একটি গতানুগতিক, লোক দেখানোর এবং লুটপাট ও আপসকামিতার বাজেট বলে মন্তব্য করেছেন।
মওদুদ আহমদ বলেন, গত বছরের ব্যর্থতা সরকার এ বাজেটে তুলে ধরেনি। বাজেট নিয়ে সরকারের দুরভিসন্ধি রয়েছে। বিশাল বাজেট হলেই বিশাল উন্নয়ন হয় না। এই বাজেট একটি নীল রঙের বিশাল ফাঁকা বেলুনের মতো। দেখতে খুব সুন্দর। একটি সুচ দিয়ে খোঁচা দেবেন দেখবেন সব শেষ। এই বাজেটে গরীবদের মূল স্রোতধারায় আনার কোন ব্যবস্থা নেই। এটি বৈষম্যের বাজেট। এর মাধ্যমে গরীবরা আরো গরীব হবে, বড়লোক আরো বড়লোক হবে।
মওদুদ আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ একটি অসহনশীল রাজনৈতিক দল। কোন বিরোধী দল থাক তারা তা সহ্য করতে পারে না। তারা সেই ১৯৭২ সাল থেকেই এমন। ইলেকশন কমিশন সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা এতোদিন বলে এসেছি সেনা মোতায়েন করতে হবে। ইসি বলেছে না মোতায়েন হবে না। এখন আবার বলছে সেনা মোতায়েন হবে। জানি না তাদের কী দুরভিসন্ধি আছে। সেনা মোতায়েন করতে হলে অবশ্যই তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিতে হবে। তা না হলে শুধু ঘোরাঘুরির জন্য সেনা মোতায়েন করলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না।
মাদক বিরোধী অভিযানের বিষয়ে বলেন, আজকে মাদক বিরোধী অভিযানের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। আমরা ক্ষমতায় আসলে প্রতিটি হত্যার জন্য অনুসন্ধান করব। প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে তাকে ধরে নিয়ে মাদক ব্যবসায়ী বলে হত্যা করা হল। কে সিদ্ধান্ত দিল সে মাদক ব্যবসায়ী। কোন আদালত কি বলেছে। কোন আদালতে কি তার বিচার হয়েছে?
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু বলেন, রমজান মাসের পরই দেশের মানুষ আন্দোলনের দিক নির্দেশনা পেয়ে যাবেন। একটি জাতীয় ঐক্য হবে। সেই ঐক্যের মাধ্যমে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে। আপনারা সবাই প্রস্তুত হোন।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উপদেষ্টা কৃষিবিদ মেহেদি হাসানের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, এনডিপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈশা প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মওদুদ আহমদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ