পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাতকে এয়ার মার্শাল পদে পদোন্নতি দিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১২ জুন বিকেল থেকে তাকে এয়ার মার্শাল পদে পদোন্নতি দিয়ে তিন বছরের জন্য বিমানবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হলো। মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরারের স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন। মেয়াদ পূর্ণ হওয়ায় আবু এসরার ১২ জুন থেকে অবসর উত্তর ছুটিতে যাচ্ছেন। আবু এসরার প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানদের (নিয়োগ, বেতন, ভাতা এবং অন্যান্য সুবিধা) আইন, ২০১৮ অনুসারে অবসর সংক্রান্ত আর্থিক ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
জীবন বৃত্তান্ত
আইএসপিআরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত ১৪ ফেব্রæয়ারি ১৯৬২ তারিখে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৬ মার্চ ১৯৮০ তারিখে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী একাডেমিতে ফ্লাইট ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯ জুন ১৯৮২ তারিখে জিডি(পি) শাখায় কমিশন লাভ করেন। এভিএম মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত একজন ফাইটার পাইলট এবং কোয়ালিফাইড ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর। একজন পেশাদার সুদক্ষ বৈমানিক হিসেবে তিনি পিটি-৬, ফুগা, এফ-৬, এফ-৭, এফ-৭বিজি, এফ-৭এমবি, এ-৫, মিগ-২৯, ইয়াক-১৩০এবং সু-৩০ এমকেআই(এ) বিমান উড্ডয়ন করেছেন। তিনি মিগ-২৯ ফাইটার স্কোয়াড্রনের প্রথম কমান্ডারের দায়িত্ব পালন সহ বিমান বাহিনীর ৩টি ফাইটার স্কোয়াড্রনের অধিনায়ক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। নটরডেমিয়ান এ কর্মকর্তা সামরিক বাহিনীর দীর্ঘ চাকুরীজীবনে দেশে ও বিদেশে পেশাগত বিভিন্ন কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ,মিরপুর হতে এয়ার স্টাফ কোর্স, ১৯৯৭ সালে রয়্যাল মালয়েশিয়ান আর্মড ফোর্সেস স্টাফ কলেজ হতে দ্বিতীয় স্টাফ কোর্স এবং ২০০৬ সালে গণচীনের ন্যাশনাল ডিফেন্সই উনিভার্সিটি হতে উচ্চতর ডিগ্রি লাভ করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি বিমান বাহিনীর বিভিন্ন কমান্ড, স্টাফ ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর-এ ডাইরেক্টিং স্টাফ এবং সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর (এয়ার), বিমান সদরের বিমান প্রশিক্ষণ পরিদপ্তর, বিমান পরিচালন পরিদপ্তর, পরিকল্পনা পরিদপ্তরের পরিচালক এবং বিমান সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিমান বাহিনী ঘাঁটি বীর শ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ঘাঁটির অধিনায়ক, বিমান বাহিনী ঘাঁটি বঙ্গবন্ধু-এর এয়ার অধিনায়ক এবং সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (প্রশাসন) হিসেবে দায়িত্ব অত্যন্ত কৃতিত্বের সাথে পালন করেছেন। পেশাগত জীবনে কর্মদক্ষতা ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি ‘বিমান বাহিনী পদক’ ও ‘অসামান্য সেবা পদক’ লাভ করেন। এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত পেশাগত কারণে বুলগেরিয়া, চীন, চেক প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, জর্জিয়া, ভারত, সৌদি আরব, লাইবেরিয়া, মালয়েশিয়া, মালি, পাকিস্তান, রাশিয়া, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ সফর করেন। এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং ইয়াসমিন জামান সুখী বিবাহিত জীবনে এক কন্যা এবং এক পুত্র সন্তানের জনক-জননী। তিনি একজন জ্ঞান-পিপাসু পাঠক এবং দক্ষ গলফার। বিমান বাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগের পূর্বে তিনি সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিচালন)-এর দায়িত্ব পালনরত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।