নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : বিশ্বকাপ শুরু হতে আর বেশি বাকি নেই। শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত ৩২ দল। তবে শুধু দলগুলোই নয়, পুরোদমে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিফার প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ দলও। আসন্ন রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য ব্যবহার করা হবে এমন কিছু বিশেষ প্রযুক্তি, যা মাঠের রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিতে বাড়তি সাহায্য করবে। তেমনই কিছু বিশেষ প্রযুক্তির উপর চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক।
গোল লাইন প্রযুক্তি
গত বিশ্বকাপের মতো এবারও থাকছে এই প্রযুক্তি। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে ফ্রান্সের করিম বেনজেমা সর্বপ্রথম বিশ্বকাপে এই প্রযুক্তির সুবিধা পেয়েছিলেন। হন্ডুরাসের বিপক্ষে তার হেড কয়েক মিলিসেকেন্ডের জন্য গোল লাইন অতিক্রম করলে গোল লাইন প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে বেনজেমার পক্ষে সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। গত বিশ্বকাপে তিনটি ঘটনায় এই প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছিলেন রেফারিরা। শুধু তাই নয়, ২০১৫ ফিফা নারী বিশ্বকাপে আটবার গোল হয়েছে কি হয়নি সেই সিদ্ধান্ত নিতে এই প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েছিলেন রেফারিরা। রাশিয়া বিশ্বকাপের রেফারিদের সুবিধার্থেও থাকছে এই প্রযুক্তি, প্রতিটি স্টেডিয়ামেই থাকবে ১৪ টি উচ্চ গতিসম্পন্ন ক্যামেরা, যেগুলো মাত্র এক সেকেন্ডের মধ্যেই রেফারির হাতের ঘড়িতে সংকেত পাঠিয়ে দেবে বল গোল লাইন পেরিয়েছে কি পেরোয়নি।
ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি
গোল লাইন প্রযুক্তির সফল প্রবর্তনের পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিতে রেফারিদের আরও বেশি সহায়তার সুযোগ করে দেয়ার জন্য আরও নতুন প্রযুক্তির দাবি তোলে ফুটবল বিশ্ব। এরই প্রেক্ষিতে দুই বছর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গত মার্চে ফুটবলে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি ব্যবহারের সবুজ সংকেত দেয় আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড। রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে, যেখানে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ভিডিও প্রযুক্তির সহায়তা পাবেন রেফারিরা। নিশ্চিত ভুল সিদ্ধান্ত ঠিক করার জন্য কিংবা ম্যাচের পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে এমন পরিস্থিতিতে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির সাথে যোগাযোগ করে ওই ঘটনার ফুটেজ পুনরায় দেখে প্রয়োজনে নিজেদের সিদ্ধান্ত বদলে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন রেফারিরা।
ইলেক্ট্রনিক পারফরম্যান্স ও ট্র্যাকিং সিস্টেম
তৃতীয় যেই প্রযুক্তিটি রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যবহার করা হবে, তা হলো ইলেক্ট্রনিক পারফরম্যান্স ও ট্র্যাকিং সিস্টেম। অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রযুক্তিগত ও মেডিক্যাল দলগুলো বেঞ্চে থাকা কোচিং স্টাফের সাথে সহজে যোগাযোগ করতে সক্ষম হবেন এই প্রযুক্তির সাহায্যে। দুইটি অপটিক্যাল ক্যামেরার মাধ্যমে মাঠে অবস্থানরত ফুটবলারদের ও বলকে শনাক্ত করা সহজতর হবে, এতে করে খেলার সরাসরি ফুটেজের পাশাপাশি এই অতিরিক্ত তথ্যগুলোও একই সাথে প্রত্যেক দলের কম্পিউটার বিশ্লেষকদের কাছে পোঁছানো সম্ভব হবে। এতে করে ম্যাচ চলাকালীন সময়ে টেকনিকাল সিদ্ধান্তগুলো নিতে সুবিধা হবে দলগুলোর কোচিং স্টাফের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।