পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইয়াছিন রানা : রমজান মাসে ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে নির্বাচনী রাজনীতি। প্রতিদিনই কোন না কোন ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, ইসলামী ও বামদলের নেতারা। বর্তমান এমপি ও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ছুটছেন পাড়া-মহল্লার ইফতারে; পুরো মাসই এলাকায় থাকার পরিকল্পনা অনেক নেতার। সর্বোপরি জাতীয় নির্বাচনের আগে রমজান মাসের ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে চলছে জনসংযোগের কাজ। এই জনসংযোগের মাধ্যমে মূলত চলছে নির্বাচনী প্রস্তুতি।
দেখা গেছে, প্রতিদিনই বিভিন্ন সংগঠনের ইফতারে রাজনৈতিক নেতারা নিজ দলের অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন, সংগঠনকে গুছিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করছেন, কূটনৈতিক যোগাযোগ বাড়াচ্ছেন, জোটের আলোচনা সাড়ছেন ইফতার অনুষ্ঠানে, আন্ত:রাজনৈতিক দলের যোগাযোগ বেড়েছে। আওয়ামী লীগ চাচ্ছে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করে আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করা। আর বিএনপি চাচ্ছে নেতাকর্মীদের গুছিয়ে ঈদের পর মাঠে নামতে। আর এই দুই দল ও জোটের বাইরে চলছে নতুন জোট গঠনের প্রক্রিয়া। আওয়ামী লীগের সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর মাসব্যাপী ইফতার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কার্যত দল ও দলের সহযোগী সব সংগঠনের নেতা-কর্মীকে চাঙ্গা করা হবে। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ইফতারের আয়োজন না করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে এ বছর ছয় দিন ইফতার কর্মসূচি রেখেছেন। এর মধ্যে ২১ মে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, এতিম, প্রতিবন্ধী শিশু ও আলেমদের সঙ্গে; ২৩ মে বিচারপতি, কূটনীতিক ও সরকারি কর্মকর্তা (সামরিক/বেসমারিক); ২৮ মে পেশাজীবী, ২ জুন আত্মীয়-পরিজন, ৪ জুন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ইফতার করেছেন। এছাড়া আগামী ৬ জুন আইনজীবীদের সঙ্গে ইফতার করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদিকে রমজানকে কেন্দ্র করে দল গোছানোর কাজে ব্যস্ত বিএনপি। ইফতার পার্টির মাধ্যমে ২০ দলীয় জোটের শরিকদের সাথে সম্পর্ক আরও জোরদার করার পাশাপাশি সমমনা ও সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে ঐক্যগড়ে তুলতে এটিকে কাজে লাগাচ্ছে। এ লক্ষ্যে প্রথম রমজানে এতিম ও ওলামা-মাশায়েখদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি। পরের দিন রাজনীতিবিদদের সম্মানে এবং তৃতীয় রমজানে কূটনীতিকদের সম্মানে রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে ইফতার কর্মসূচি পালন করে রাজপথের বিরোধী দল। এর মধ্যে রাজনীতিবিদদের সম্মানে আয়োজিত ইফতারে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ও বাংলাদেশের সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না অংশ নেয়ায় রাজনৈতিকভাবে সফলতা দেখছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এছাড়া সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ইফতারেও অংশ নিচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও দলটির সিনিয়র নেতারা। একইভাবে তৃণমূল পর্যায়েও এই আয়োজন করা হচ্ছে। কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাধ্যমতো যত সংখ্যক সম্ভব ইফতার পার্টি আয়োজন করার।
আর বিএনপি-আওয়ামী লীগের জোট-মহাজোটের বাইরে বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্নার নেতৃত্বে চলছে নতুন নির্বাচনী জোট গঠনের প্রক্রিয়া। ইফতার রাজনীতির মাধ্যমে এই কাজের গতি বেড়েছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আগামী নির্বাচনের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। ইফতার রাজনীতি তৃণমূলে প্রভাব পড়বে সবচেয়ে বেশি। দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে পাড়া-মহল্লায় গিয়ে দেখা-সাক্ষাত ও গণসংযোগ করছেন। ইফতার রাজনীতিকে কেন্দ্র করেই জমে উঠেছে সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা। রমজানে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ইফতারসামগ্রী, জামাকাপড় ও জাকাত বিতরণের মাধ্যমে মানুষের ভালোবাসা আদায়ের চেষ্টায় থাকবেন মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। এ ছাড়া তৃণমূলে যেসব নেতা-কর্মীর সঙ্গে এমপি-মন্ত্রীদের দূরত্ব রয়েছে, তা নিরসনের চেষ্টা করবেন এবারের রমজানে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুখ দেখে নয়, জরিপ দেখে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হবে না শেখ হাসিনার এমন ঘোষণায় এমপি-মন্ত্রীরা এখন অনেকটাই এলাকামুখী। তাদের পাশাপাশি মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও নির্বাচনী এলাকার গ্রাম-ওয়ার্ড, পাড়া-মহল্লা চষে বেড়াচ্ছেন।
দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাদারীপুর-২ আসনের এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম রমজানের শুরু থেকেই নিজ এলাকাতে অবস্থান করছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। বাহাউদ্দিন নাছিম ইনকিলাবকে বলেন, রমজানের প্রথমদিন থেকে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন একেক ইউনিয়নে ইফতারের আয়োজন করছি। প্রতিদিন দুই-আাড়াই হাজার মানুষের সঙ্গে ইফতার করছি। ইফতারে অংশগ্রহণের মাধ্যমে প্রত্যেক এলাকার মানুষের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ বাড়ছে। রাজণৈতিক বক্তব্য দিয়ে সব সময় মানুষকে কাছে টানা যায় না; কাছে টানতে হলে মানুষের কাছে যেতে হয়। এজন্য জনগণের সঙ্গে ইফতারে সামিল হওয়া সর্বোত্তম পন্থা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন ইনকিলাবকে বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আমার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের পক্ষ থেকে ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। এ ছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে বেশ কয়েকটি জেলায় ইফতারে অংশ নেব। রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও সারা দেশ সফরে যাবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।’
আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম ইনকিলাবকে বলেন, ‘রমজান মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও দলের নেতা-কর্মীদের আয়োজনে বিভাগীয়, জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ইফতারের আয়োজন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি অনির্ধারিত আলোচনায় দলের বর্তমান অবস্থার চিত্র পাওয়া যায়। রমজানে রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও ইফতারে অংশ নিয়ে আমরা দলকে সুসংগঠিত করার চেষ্টা করব।’
যশোর-৫ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বীরমুক্তিযোদ্ধা এস এম ইউনুস আকবর। রমজানের প্রথমদিন থেকেই তিনি গ্রাম, ইউনিয়ন এবং থানা সদরের আওয়ামী লীগের অফিসে ইফতারের আয়োজন করেছেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে চাঁদপুর-৩ (চাঁদপুর-হাইমচর) আসনের ইফতার পাটি করছেন রেদওয়ান খান বোরহান। আওয়ামী লীগের এই সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রতিদিন স্থানীয় পেশাজীবি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন। বাদ আছর একেকদিন একেক ইউনিয়ন ও ক্লাবে ইফতারে মিলিত হচ্ছেন।
কিশোরগঞ্জ-২ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ড. হাবিবুল্লাহ মোহাম্মদ যায়েদ। তিনিও নির্বাচনী এলাকা (কটিয়াদী-পাকুন্দীয়া) রোজাদার ব্যক্তিদের জন্য ইফতারের ব্যবস্থা করেছেন। আচমিতা-ডোলদিয়া, মসুয়া, লোহাজুড়ি,কালিয়া চাপড়াসগ বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের জন্য ইফতার ব্যবস্থা করেছেন।
রাজধানীর পাশ্ববর্তী জেলা নারায়নগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ আব্দুল¬াহ আল কায়সার হাসনাত। তিনি নিজ উদ্যোগে আওয়ামী যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষক লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছেন। এই ইফতারের মধ্যদিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সেতুবন্ধনের পাশাপাশি নির্বাচনী কাজগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন আব্দুল¬াহ আল কায়সার হাসনাত।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-৫ আসনে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ক্লাবে ইফতারের আয়োজন করেছেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও এমপি পুত্র মশিউর রহমান মোল¬া সজল। এতে প্রতিদিন পাড়া-মহল¬ার বাসিন্দা ছাড়াও পথচারিরা ইফতার করছেন। তিনি পাড়া-মহল¬ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসায় ইফতারের মাধ্যমে প্রতিদিন মিলিত হচ্ছেন। এতে তৃণমূল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের মিলবন্ধ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
ইফতারের আগমুহুর্তে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাÐ তুলে ধরে নিজ নির্বাচনী এলাকায় চষে বেড়াচ্ছেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্যক্ষ সুজাউল করিম চৌধুরী বাবুল। তিনি নিজ এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ-যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ ও ছাত্রলীগ, কৃষক লীগের নেতাদের সাথে নিয়ে ইফতারে মিলিত হচ্ছেন। এছাড়াও এলাকার মসজিদ-মাদরাসায় তিনি ইফতার পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন।
জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ঢাকা-৬ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু প্রতিদিন বিভিন্ন ইফতার পার্টিতে মিলিত হচ্ছেন। এলাকার মসজিদগুলোর পাশাপাশি পাড়া-মহল¬ার দলীয় ও সামাজিক ক্লাবগুলোতে ইফতারের জন্য আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। এতে ঢাকা-৬ নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত।
ঢাকা-৭ আসনে ইফতার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাড়া-মহল্লায় গণসংযোগ করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন। এছাড়া গরীব, দু:খীদের পাশে দাড়াচ্ছেন এই নেতা। এদিকে ইফতার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করছেন ঢাকা-৮ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী যুবলীগ ঢাকা মহানগর দিক্ষণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী স¤্রাট।
এদিকে পিছিয়ে নেই বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। নানা বাধা বিপত্তি থাকলেও রমজান মাসে নির্বিঘেœ ইফতার অনুষ্ঠান করতে পারছেন তারা। ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী তরুণ ব্যবসায়ী বাহাউদ্দিন সাদী ইফতার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সংগঠিত করছেন তৃণমূল বিএনপিকে। প্রতিদিন একেক এলাকায় ইফতারে যোগ দিচ্ছেন এই নেতা।
ঢাকা-১১ আসনের প্রার্থী ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সভাপতি এম এ কাইয়ুম দেশে না থাকলেও তার নির্দেশনা মোতাবেক একেক এলাকায় চলছে ইফতার। পাশাপাশি গরীব-দু:খী, ইয়াতিমদেরও করা হচ্ছে সাহায্য সহযোগীতা।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন জেলার কমিটিগুলো ঠিক করা হচ্ছে। বিভিন্ন ইফতার পার্টির মাধ্যমে জনসংযোগ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কর্ণেল (অব.) ফারুক খান ইনকিলাবকে বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ নির্দেশনা মোতাবেক রমজানে নেতা-কর্মী ও এমপি-মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় সময় দিচ্ছেন। আসা করি পবিত্র রমজান মাসে তারা স্থানীয় নেতা-কর্মী, ১৪ দলের শরিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করতে সক্ষম হবেন। এতে দল ও ১৪ দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হবেন বলে মনে করি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।