আল্লাহর বিধান মতে দেশ চালালে মাদক সন্ত্রাস রাষ্ট্রীয় দুর্নীতি নির্মূল হবে -আল্লামা আশরাফ আলী
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান শায়খুল হাদীস আল্লামা আশরাফ আলী বলেছেন, আল্লাহ মানুষের উপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন যাতে মানুষ খোদা ভীতি অর্জন করতে পারে। আল্লাহভীতি অর্জিত হলে মানুষ সন্ত্রাস, দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ হতে মুখ ফিরিয়ে নিবে। সকল ধরণের অন্যায় অবিচার থেকে সাধারণ মানুষ মুক্তি পাবে। সুতরাং রমজানের শিক্ষা হলো সকল আল্লাহদ্রোহীদের মোকাবেলায় আল্লাহর বিধান কায়েমের কাজ করা। তিনি বলেন, রমজান মাসেই আল্লাহ অল্প সংখ্যক মুসলমানকে বহুসংখ্যক কাফেরের বিরুদ্ধে বিজয় দান করেছেন। আমাদেরকে বদরের চেতনা নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যে অভিযান চলছে তাতে সাময়িক ফায়দা হলেও সমূলে নির্মূল করা সম্ভব হবে না। এর জন্য আল্লাহর বিধান কার্যকর করতে হবে। তিনি আরো বলেন, মাদক বিরোধী যুদ্ধের ন্যায় প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় দুর্নিতী এবং অশ্লীলতার বিরুদ্ধেও যুদ্ধ ঘোষনা করতে হবে।
আজ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে পুরানা পল্টনের ওয়েস্টন রেষ্টুরেন্টে আলেম রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিকদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দলের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হকের পরিচালনায় এতে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদার, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর ড. মাওলানা ঈসা শাহেদী, মুসলিমলীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ন-মহাসচিব মাওলানা এটি এম হেমায়েত উদ্দীন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শফিকুল ইসলাম সেন্টু, ইনসাফ২৪ এর সম্পাদক সায়্যেদ মাহফুজ খন্দকার, বাংলাদেশ ইসলামী লেখক ফোরামের
সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুনিরুল ইসলাম।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আজীজ, ড. মাওলানা জি এম মেহেরুল্লাহ, অফিস ও বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা মুহসিনুল হাসান, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, নির্বাহী সদস্য মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা জসীম উদ্দীন, মুহাম্মদ আব্দুর রহীম, মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সাল, ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা এনামুল হক মূসা,
সাধারণ সম্পাদক মাওলানা রুহুল আমীন খান, ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ রহমত আলী প্রমূখ।
অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানে নিরপরাধ মানুষ বন্ধুক যুদ্ধের শিকার ও হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য অভিযানকে পুজি করে চাঁদাবাজি করারও অভিযোগ রয়েছে। সুতরাং মাদক বিরোধী অভিযান হতে হবে আইনানুগভাবে। মাদক গডফাদারদের বিরুদ্ধে অভিযান হতে হবে আরো দ্রুত।