Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আনোয়ারায় সড়কের করুণ হাল: কার্পেটিং ওঠে খানাখন্দ ও গর্তের সৃষ্টি : যান চলাচলে চরম দুর্ভোগ

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) থেকে জাহেদুল হক | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সংস্কারের অভাবে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পশ্চিমচাল কবিরের দোকান থেকে বারশত কালীবাড়ি পর্যন্ত ক্যাপ্টেন বখতিয়ার সড়ক ও কালীবাড়ি থেকে পূর্ব গহিরা পর্যন্ত মোহছেন আউলিয়া সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং ওঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলা ও উপজেলা সদরে যাতায়াতে দুই ইউনিয়নের লোকজন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে উপজেলার ক্যাপ্টেন বখতিয়ার সড়ক ও মোহছেন আউলিয়া সড়কের প্রায় ১৫ কিলোমিটার কার্পেটিং করা হয়। এরপর থেকে সংস্কার না করায় ওই সড়কের অধিকাংশ স্থানের কার্পেটিং উঠে যায়। বৃষ্টি ও প্রতিনিয়ত যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি সংস্কার করা হলে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা, দক্ষিণ গহিরা, সরেঙ্গা, চুন্নাপাড়া, খোর্দ্দ গহিরা, হাজীপাড়া, রায়পুর, ফকিরপাড়া, পরুয়াপাড়া এবং বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া, চালিতাতলী, গুনদ্বীপ, বারশত কালীবাড়ি, বখতিয়ারপাড়া ও পশ্চিমচালসহ আরো কয়েকটি গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আনোয়ারার গ্রামীণ সড়কের করুণ হাল। বিশেষ করে উপজেলার পশ্চিমচাল কবিরের দোকান থেকে পূর্ব গহিরা কোস্টগার্ড সাঙ্গু স্টেশন পর্যন্ত অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং ওঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। সেখানে বৃষ্টির পানি জমে মিনি পুকুরে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসী সিএনজিচালিত অটোরিকশা, চাঁদের গাড়ি, মোটরবাইক ও রিকশায় চলাচল করছেন। তবে গর্তের কারণে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে।
কালীবাড়ি বাজারের অটোরিকশা চালক সামশুদ্দিন জানান, সড়কে গর্তের কারণে গাড়ি চলে হেলে-দোলে। অনেক সময় গর্তে পড়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। রায়পুর গ্রামের কলেজছাত্রী শারমিন সুলতানা বলেন, সড়কের এ করুণ হালের কারণে যাতায়াত করতে সময় লাগে বেশি। গহিরা গ্রামের ছালেহ আহমদ, আবদুল করিম, জয়নাব আলীসহ আরো কয়েকজন মৎস্যজীবী বলেন, সাগর থেকে ধরা সামুদ্রিক মাছ বিক্রির জন্য শহরের আড়তে নিতে হয়। কিন্তু ভাঙাচোরা সড়কের কারণে অতিরিক্ত পরিবহন ভাড়া গুনতে হচ্ছে তাদের।
স্থানীয় বারশত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ্ বলেন, সড়কটি সংস্কার করতে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, যা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে আপাতত সড়কের কিছু স্থানে উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে সংস্কার করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশলী তসলিমা জাহান ইনকিলাবকে বলেন, বরাদ্দ চেয়ে চাহিদাপত্র এলজিইডির সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই সড়কটির উন্নয়ন কাজ শুরু করা হবে।



 

Show all comments
  • Mohammed Rasel ৫ জুন, ২০১৮, ৩:২৬ পিএম says : 0
    Digital unnoyon e desh dhonser dike jacche..
    Total Reply(0) Reply
  • Zahid Alam ৫ জুন, ২০১৮, ৩:২৭ পিএম says : 0
    Thanks daily inqilab
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ