পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাÐের ব্যাপক সমালোচনার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সমালোচনাকারীরা সমালোচনা করুক, সরকার অভিযান চালিয়ে যাবে। যতদিন প্রয়োজন হয় অভিযান চলবে, যতক্ষণ না সর্বনাশা মাদকের ছোবলকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’ আর বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযানে জাতিসংঘের নজর রাখার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘পর্যবেক্ষণের করছে, করুক।’
গতকাল দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মেট্রোরেল প্রকল্পের প্যাকেজ-৭ এর চুক্তি সই অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বন্দুকযুদ্ধকে বিচারবহির্ভূত হত্যা বলে বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীরা তাদের বিবৃতি দিতেই পারেন। সমালোচনা করার অধিকার সবারই রয়েছে। কিন্তু আমরা মনে করছি মাদকবিরোধী অভিযান সর্বাত্মক রূপ নিয়েছে, দেশের জনগণ খুশি।’
কাদের বলেন, ‘দেশের তরুণ সমাজকে ধ্বংস করছে যে মাদক, তা থেকে তরুণদের রক্ষা করার জন্য এ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কাজে সমালোচকরা সমালোচনা করুক। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি দেশের জনগণ ও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে। কারণ তরুণরাই হচ্ছে দেশের ভবিষ্যৎ, তারা ধ্বংস হলে দেশের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা অভিযান দেশের স্বার্থে জনগণের স্বার্থে চালিয়ে যাচ্ছি।’
মাদকবিরোধী অভিযানের কারণে সরকারের জনপ্রিয়তা বেড়েছে দাবি করে তিনি করেন, যখন এ অভিযান জনগণের প্রশংসা কুড়াচ্ছে, জনগণ খুশি এবং এ অভিযানে সরকারের জনপ্রিয়তা বাড়ছে তাই স্বাভাবিক কারণেই বিএনপির গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। সরকারের ভালো কাজে জনপ্রিয়তা বাড়ছে তা তারা সইতে পারছে না, হজম করতে পারছে না। তাই বিএনপি এ অভিযানের বিরুদ্ধে যা খুশি তা বলে বেড়াচ্ছে।’
এদিকে বাংলাদেশের মাদকবিরোধী অভিযানে নজর রাখার কথা জানিয়ে জাতিসংঘের মাদক অপরাধবিরোধী সংস্থা ইউএনওডিসিও। তারা মাদক নিয়ন্ত্রণে ভারসাম্য ও মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রæতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণের অধিকার রয়েছে, তা তারা করুক। আমাদের বিদেশি কোনো বন্ধুদের পর্যবেক্ষণের করতে চাইলে করুক। কারও চাপের কাছে আমরা নতি স্বীকার করব না, নতি স্বীকার করব বাংলাদেশের জনগণের চাপে।’
কক্সবাজারে নিহত একরামুল হকের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘একরাম নির্দোষ হলে তার নিহতের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। একরাম আমাদের দলের কর্মী। একরামের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আমি বলেছি। যদি তদন্দে প্রমাণিত হয় একরাম নির্দোষ, ওখানে যারা তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন তারাই দোষী হিসাবে সাব্যস্ত হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়া হবে।’
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে জড়িত র্যাব-পুলিশ সদস্যদের ফাঁসিসহ নানা মেয়াদের রায়ের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় কি র্যাবের বড় অফিসাররা বাদ গেছে নেটের (জাল) বাহিরে? তাদের ফাঁসির অর্ডারও হয়েছে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ অপর এক প্রশ্নে কক্সবাজারের টেকনাফের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি যে ইয়াবার গডফাদার, তার কী প্রমাণ, তা জানতে চান ওবায়দুল কাদের।
ঈদের পরে দেশব্যাপী দুর্নীতিবিরোধী অভিযান শুরু হবে এমন আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান তো চলছেই। দুদককে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। দুর্নীতিবাজ রাঘববোয়াল হোক, চুনোপুটি হোক তাকে ধরার জন্য জাল বিছানো হয়েছে।’
দুদককে স্বাধীনতা দেয়ার কারণেই আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যদের তলব করা হচ্ছে। কাজেই দুদকের স্বীধনতা আছে এবং তা তারা কাজে লাগাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।