পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া : ১১টি রাজ্যে ৪ লোকসভা ও ১১ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের ফলাফলে সতর্ক ঘন্টা বেজে উঠেছে যা বিজেপি বা তার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক এলায়েন্স (এনডিএ) জোট শরিকরা উপেক্ষা করতে পারে না। এটাকে যদি দেশের মানুষের মনোভাবের তাৎক্ষণিক মতামত জরিপ হিসেবে দেখা হয় তাহলে বলতে হয় যে এ ১৫টি আসনে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করে মাত্র ৩টিতে জয়লাভের ঘটনা বলছে যে বিজেপি বিপাকে পড়েছে। বিজেপির ভরসার রাজ্য যে উত্তর প্রদেশ (ইউপি) ২০১৪-র জাতীয় নির্বাচনে এনডিএকে ৭৩টি আসন দিয়েছিল সেই উত্তর প্রদেশের কৈরানা আসনটি এসপি ও কংগ্রেসের সরাসরি সমর্থন ও বিএসপির মৌন সমর্থনে মুঠোয় পুরেছে আরএলডি। নূরপুর আসনটি নিয়েছে এসপি প্রার্থী। গোরখপুর ও ফুলপুরে পরাজয়ের ক্ষতের প্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কট্টর হিন্দুত্ববাদী যোগী আদিত্যনাথের নিয়োগ প্রশ্ন সৃষ্টি করেছে।
ক্ষমতাসীন বিজেপি বিরোধী জোট গঠন ও বিরোধী দলগুলোর নির্বাচনী অংকের সমন্বয় একযোগে বিজেপির জমকালো নির্বাচন কৌশলের বিজয় রথকে থামিয়ে দিতে শুরু করেছে। কৈরানায় রাষ্ট্রীয় লোকদল (আরএলডি) প্রার্থী প্রায় ৪৫ হাজার ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরী একে ‘গন্না (আখ) বনাম জিন্না (পাকিস্তানের স্থপতি) আন্দোলন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি আখের মূল্য হ্রাস ও চাষীদের পাওনা পরিশোধে চিনিকলগুলোর ব্যর্থতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এ ঘটনায় সংখ্যালঘু কার্ড খেলায় বিজেপি সফল হতে পারেনি।
যে সময় ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলো হিন্দুদের রোষের ভয়ে মুসলিম ভোটারদের থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছে সে সময় আরএলডি একজন মুসলিম মহিলাকে প্রার্থী করে বাজি ধরে, তারা উত্তর প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণ পরীক্ষা করেছে ও প্রমাণ করেছে যে বিরোধী ঐক্য ফাটল অতিক্রম করতে পারে। মহারাষ্ট্রের ফলাফলও কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। এ ফলাফল বিজেপির প্রতি তাদের বিচ্ছিন্ন মিত্র শিবসেনার সাথে বিরোধ মিটিয়ে নেয়ারও হুঁশিয়ারি বটে। বিরোধী ভোট ভাগ হয়ে যাওয়ার কারণে বিজেপি পালঘরে শিবসেনার বিরুদ্ধে কোনোমতে জয়লাভ করে। অন্যদিকে ভান্ডারা-গোন্ডিয়াতে এনসিপি-কংগ্রেস জোট জয় ছিনিয়ে নেয়। এ আসনগুলোতে বিজেপি ২০১৪ সালে যথাক্রমে আড়াই লাখ ও দেড় লাখ ভোটে জয়ী হয়েছিল। পরিবর্তনের হাওয়া নিজেই কথা বলবে।
বিহারের মুসলিম প্রধান জকিহাটে রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) শক্তিশালী জেডি(ইউ)-বিজেপি জোটকে পুনরায় হটিয়ে দিয়েছে এবং দলটি আস্থার সাথে ২০১৯ সালের নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। বিরোধী দলগুলোর জন্য উপ নির্বাচনের ফলাফল সময় নষ্ট না করে আসন ভাগাভাগির আলোচনা শুরুর জন্য উৎসাহিত করবে। ক্রমবর্ধমান ক্ষমতাসীন বিজেপি বিরোধিতার আবহাওয়ার মধ্যে এ বছরের শেষদিকে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে সরকার রক্ষার জন্য লড়তে হবে বিজেপিকে। এ অবস্থায়ই বিজেপিকে সাধারণ নির্বাচনে অগ্রগতি লাভে মনোনিবেশ করতে হবে। বিজেপির ‘মোদি বনাম বাকিরা’ কৌশলকে নিষ্প্রভ অর্থনীতি এবং নেতা মোদি ও বিজেপি দলকে পৃথক করতে শুরু করা ভোটারদের সাথে প্রতিযোগিতা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।