রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নড়াইল জেলা সংবাদদাতা
নড়াইলের লোহাগড়ায় পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দিঘলিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা তুঙ্গে। চায়ের দোকানে প্রতিদিন চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলাপ-আলোচনা। যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে ভোটারদের মাঝে আগ্রহের কোন শেষ নেই। বর্তমান সরকারের অধীনে এই প্রথম দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ভোটারদের নিজের দলে টানতে দ্বারে দ্বারে দিন-রাত ঘুরছেন প্রার্থীরা। দলীয় প্রার্থী হতে দিঘলিয়া ইউনিয়ন থেকে আ.লীগ প্রার্থীদের মধ্যে তুমুল প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এ ক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ে দিঘলিয়া ইউনিয়নে বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান বিশ্বাসের ছেলে ও দিঘলিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম ফায়েজ আহম্মেদ এগিয়ে আছেন বলে ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে। এলাকায় ভোটারদের সাথে কথা বলে আরও জানা গেছে, ফায়েজ আহম্মেদের পিতা স্বাধীনতা যুদ্ধে লোহাগড়া উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত করতে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। শুধু তাই নয় লুৎফর রহমান বিশ্বাস ১৯৭১ সালে ৮নং সেক্টরের অধীনে নড়াইল, লোহাগড়া, গোপালগঞ্জ, যশোর, তেরখাদা ও মোল্যাহাট এলাকায় কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া লুৎফর রহমান ১৯৮৮ সালে ওই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে মাত্র ৫২ ভোটে পরাজিত হন। এ কারণে তার ছেলে হিসেবে ফায়েজ আহম্মেদের পরিচিতি সাধারণ ভোটারদের মাঝে ব্যাপক। তাছাড়া, তিনি দীর্ঘদিন ধরে আ.লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি এলাকার সাধারণ গরিব, মেধাবী শিক্ষার্থী ও সমাজের অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে সার্বিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখে চলেছেন। এলাকার তরুণ ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, খেলাধুলা ও শিক্ষার উন্নয়নে ফায়েজ তরুণদের জন্য অহঙ্কার। দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঝে রয়েছে তার সখ্যতা। তরুণ প্রার্থী ফায়েজ আহম্মেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে দল করছি। দল আমাকে সমর্থন করলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, নির্বাচিত হলে দিঘলিয়াকে একটি মডেল ইউনিয়ন হিসেবে জাতির কাছে উপহার দিব। এবং দিঘলিয়া ইউনিয়নকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত এলাকায় পরিণত করব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।