বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাসভবন গুডস হিলে সন্ত্রাসী হামলা ও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে নিন্দা প্রতিবাদ অব্যাহত আছে। চট্টগ্রাম বিএনপি গতকাল (শুক্রবার) এক সংবাদ সম্মেলনে রাজনৈতিক নেতার বাড়িতে হামলার ঘটনাকে নজিরবিহীন উল্লেখ করে অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং হামলাকারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় ফটিকছড়িতে একটি আলোচনা সভায় দেওয়া গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর একটি বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কটূক্তি বলে যে প্রচারণা চলছে তা মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার উল্লেখ করে বিএনপির নেতারা বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতার এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাথী উদয় কুসুম বড়–য়া, মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাহিদুল করিম কচি, বদরুল খায়ের চৌধুরী, আনোয়ার হোসেন লিপু, কামরুল ইসলাম, শওকত আলী নূর, মোঃ শাহজাহান, অ্যাডভোকেট এনামুল হক, মাইনুদ্দিন মাহমুদ, নকীব আহমেদ ভূঁইয়া, ফিরোজ আহমেদ, জাহাঙ্গীর হোসেন, শফিউল জামান, আকবর হোসেন ভূঁইয়া, নিজামুল হক তপন প্রমুখ।
লিখিত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন বলেন, মঙ্গলবার বিএনপি ফটিকছড়ি উপজেলা ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ২ হাজার লোকের উপস্থিতিতে সুন্দর পরিবেশে সমাপ্ত হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীতো দূরের কথা কাউকে কটাক্ষ করে কোন বক্তব্য দেওয়া হয়নি। ভাংচুর, গোলাগুলি এ জাতীয় কোনো ঘটনা সেখানে ঘটেনি। অথচ এক ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী, মির্জা আকবর, সরওয়ার আলমগীরসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭০-৮০ জনের নামে বিস্ফোরক ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন, যা উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত, হাস্যকর এবং বানোয়াট। এই মামলায় ফটিকছড়ি যুবদলের সভাপতি মনসুর আলম চৌধুরী এবং হারুয়ালছড়ি ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি নুরুল ইসলাম মেম্বারকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি বলেন, মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরী স্মৃতি বিজড়িত গুডস্ হিল একটি ঐতিহ্যবাহী বাড়ী। মরহুম ফজলুল কাদের চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, মেরিন একাডেমী, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেন। ৩০মে রাতে সবাই যখন তারাবির নামাজ আদায় করছিল ঠিক সেই সময় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে ১০০ থেকে ১৫০ ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী গেইটের দারোয়ানকে মারধর করে ভিতরে প্রবেশ করে মধ্যযুগীয় বর্বর কায়দায় পার্কিং করা ১০-১২টি গাড়ি, বারান্দার চেয়ার, টেবিল, রেলিং, দরজা-জানালা ভাংচুর করে। রাজনীতি করার কারণে এই ঐতিহ্যবাহী বাড়িতে এবং পরিবারের উপর হামলা চট্টগ্রামে এই প্রথম। এই ঘটনার প্রতিবাদ করার ভাষা আমাদের নেই। গুডস্ হিলের হামলাকারীরা নিজেরাই তাদের ফেসবুক আইডি, পত্রিকায়, তাদের উপস্থিতি এবং ভাংচুরের কর্মকান্ড আপলোড করে ভাইরাল করেছে। আমরা এই ঘটনার সুুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।