বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাতীয় পার্টির (জাপা) ইফতার মাহ্ফিলে হামলার ঘটনাকে পরিকল্পিত বলে দাবি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক জিয়াউল হক মৃধা। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরাইল-বিশ্বরোডস্থ লাল শালুক নামক একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি করেন তিনি। একই সাথে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনারও আল্টিমেটাম দিয়েছেন তিনি। সাংসদ জিয়াউল হক বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের অধিকার আছে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করার। সারাদেশে রাজনৈতিক সহাবস্থানের তীর্থভূমি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পরিচিত। হামলার ঘটনায় নিজ দলের বহিষ্কৃত নেতা ওয়াহেদুল হক ওয়াহেবের পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ প্রভাবশালী নেতাও দায়ী। প্রভাবশালী ওই নেতা সরাইল-আশুগঞ্জের নানা কর্মকান্ডে অবৈধ হস্তক্ষেপ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা আওয়ামী লীগকে মদদ দিয়ে সাড়ে ৯ বছর ধরে ক্ষমতায় রেখেছি। কিন্তু সরকারের সমমনা দলের প্রতি এমন বিদ্বেষমূলক আচরণের কারণ আমাদের জানা নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দল দেশ নিয়ে ভাবলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ সেটা ভাবে না। তারা নিজেদের কথা ভাবে।
হামলার সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জিয়াউল হক আরও বলেন, যখন আমার গাড়িটি ভাঙচুর করা হচ্ছিল তখন এক পুলিশ কর্মকর্তার গাড়ি সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। এতেই বুঝা যায় এ হামলা পরিকল্পিত। দলের পক্ষ থেকে মামলা নিয়ে থানায় গেলেও পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করছে না। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় জড়িতদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পাশাপাশি রাজপথ ও নৌপথ কর্মসূচি পালন করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা এডভোকেট রেজউল ইসলাম ভূইয়া, সরাইল উপজেলা জাপার সাবেক সাধারণ সম্পাদক হুমায়ূন কবির, আশুগঞ্জ উপজেলা জাপার সদস্য সচিব মিরাজ শিকদার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।