পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি হযরত আল্লামা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেছেন, পবিত্র রামাদ্বান মাস আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসে কুরআন নাযীল হয়েছে। তাই এই মাসে বেশি বেশি পবিত্র কুরআনের খিদমত করেতে হবে। রামাদ্বান মাসের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট হলো এই মাসে আছে শবে ক্বদরের রাত। যে রাতকে আল্লাহ হাজার রাত থেকেও উত্তম বলেছেন। তিনি বলেন, অতি সম্প্রতি আমরা একশ্রেণীর ফতোয়াবাজ স্বঘোষিত শায়েখের অপতৎপরতা লক্ষ্য করছি। যারা আমাদের ঈমান, আক্বিদা এবং আমল থেকে সরিয়ে নেওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা করে যাচ্ছে। এরা প্রকাশ্যে রাসূল (সাঃ), আহলে বাইত, সাহাবায়ে কিরাম, আইম্মায়ে মুজতাহিদিন, আউলিয়ায়ে কিরাম এর শত্রুতায় লিপ্ত। রাসূল (স) এর সময় থেকেই খারিজিদের এরূপ অপতৎপরতা চলে আসছে। সালাফি ও খারেজি ও লা মাজাহাবিদের সম্পর্কে আমাদের সতর্ক হতে হবে। একই সাথে সরকারকে এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। কেননা এরাই বাংলা ভাই হয় আবার এরাই বিন লাদেন হয়। তিনি আরো বলেন- ইসলাম কেবল দাড়ি রাখা, পাঞ্জাবি পরা আর মসজিদে যাওয়ার নামই ইসলাম নয়। বরং রাসূল (সাঃ) এর সিরাত থেকে আমরা বুঝি যে, মানবিকতা, খিদমাতে খালক্ব ইসলামের একটি সুমহান সৌন্দর্য। এই পবিত্র মাসে আমাদেরকে বেশি বেশি খিদমাতে খালক্বে আত্মনিয়োগ করতে হবে। বিশেষত রোহিঙ্গা মুসলমানদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি ১ জুন শুক্রবার রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে বাংলদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া আয়োজিত মাহে রামাদ্বানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি রেদ্বওয়ান আহমদ চৌধুরীর’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসাইন জাহেদের পরিচালনায় মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল ইসলাহর যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী। মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন, আনজুমানে আল ইসলাহ ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা মুফতী আবু নছর জিহাদী, বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা বেলাল আহমদ, ছাত্র জামিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাসির উদ্দীন খাঁন, ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফজলুল করিম মারুফ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি এম. রহমত আলী, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ নুরুজ্জামান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।