মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উত্তর প্রদেশে কাইরানা লোকসভা এবং নুরপুর বিধানসভা আসনে বিজেপিকে হারিয়ে দিলো বিরোধীদের জোট। পাশাপাশি চার বছর পর প্রথম মুসলিম পার্লামেন্ট সদস্য পেল উত্তর প্রদেশ। ১০ রাজ্যের ৪টি লোকসভা আসন এবং ১০টি বিধানসভা আসনে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে ব্যাপক ধরাশায়ী হতে হয়েছে বিজেপিকে। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে বিজেপি বনাম অন্য দলগুলোর জোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতা যে শক্ত হবে, এ ফলাফলকে তার আভাস বলে উল্লেখ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কেরালা, ঝাড়খন্ড, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়া, কর্নাটক এবং পাঞ্জাবের উপনির্বাচনে বিজেপিবিরোধী দলগুলোর জয়ের পর নতুন এ বিজয় সে আভাসকে জোরালো করে তুলেছে।
গত ২৩ মে ভারতের কর্নাটক রাজ্যে কংগ্রেস-জেডি(এস) জোট সরকারের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এইচ ডি কুমারস্বামীর শপথগ্রহণের দিনে এক কাতারে জড়ো হন বিজেপিবিরোধীরা। কুমারস্বামীর এই শপথ গ্রহণের মঞ্চ যেন সেদিন ভারতের বিজেপিবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যের মঞ্চ হয়ে উঠেছিলো। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও জেডিএসের নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া দুজনেই জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যে সহযোগিতার এই মডেল তারা জাতীয় স্তরেও নিয়ে যাবেন। কংগ্রেস ও জেডিএসের শীর্ষ নেতাদের পাশে থেকে সম্মিলিতভাবে বিজেপি–বিরোধিতার ইঙ্গিত দিয়ে গেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, কেরালার সিপিএম মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, এসপি নেতা অখিলেশ সিং যাদব, বিএসপি নেত্রী মায়াবতী, সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিসহ আরও অনেকে।
গত সোমবার (২৮ মে) ভারতের ১০ রাজ্যে ৪টি লোকসভা এবং ১০টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কর্নাটকে একটি আসনে ঝুলে থাকা বিধানসভা ভোটও হয় ওইদিন। বৃহস্পতিবার হয় ভোট গণনা। মহারাষ্ট্রে একটি লোকসভা আসন এবং উত্তরাখণ্ডের একটি বিধানসভা আসন ছাড়া বিজেপি কোথাও জিততে পারেনি।
২০১৪ সালে সমস্ত নজির ভেঙে দিয়ে উত্তরপ্রদেশের ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩টি দখল করে নিয়েছিল বিজেপি। সমাজবাদী পার্টি জিতেছিল ৩টি আসনে।
কৈরানা লোকসভা কেন্দ্রটিও ২০১৪ সালে বিজেপির হাতেই ছিল। পার্লামেন্ট সদস্য হুকুম সিংহের মৃত্যুতে সেখানে উপনির্বাচন হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপনির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে কাইরানাতে সমাজবাদী পার্টি ও বিএসপি সমর্থিত আরএলডি’র প্রার্থী তাবাসসুম হাসান ৪৪ হাজার ভোটে মৃগানকা সিং-কে হারিয়েছেন। মৃগানকা সিং হলেন প্রয়াত বিজেপি এমপি হুকুম সিং-এর মেয়ে।
উত্তর প্রদেশে মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মুসলিম,। কিন্তু ৪ বছর আগে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির দাপটে এক জন মুসলিমও নির্বাচিত হতে পারেননি। সে বার বিরোধীরা হাতে হাত মেলাতে পারেননি বলে মুসলিম ভোট বিভাজিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এবার আর তা হয়নি। সমাজবাদী পার্টি সমর্থন করেছিল কৈরানা আসনে দাঁড়ানো আরএলডি প্রার্থী তাবাসসুম হাসানকে।
নুরপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে এসপি’র নাইমুল হাসান ৬ হাজার ভোটে বিজেপিকে পরাজিত করেছেন।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনগুলোর ফলাফল বিজেপিকে উদ্বেগে ফেলেছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা বড়সড় চিন্তার কারণ মোদি-অমিত শাহ জুটির কাছে৷ উপনির্বাচনের ফলাফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে সম্মিলিত বিরোধী জোট বিজেপির বিরুদ্ধে কতটা শক্তিশালী হয়ে হাজির হতে পারবেন তা নিয়ে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।