পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক : ধূমপানের মরণনেশা ধরা সহজ ছাড়া কঠিন। প্রতি বছর যত মানুষ এমন নেশার খপ্পরে পড়েন, তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক এই মারণ অভ্যাসকে ত্যাগ করতে চান। কিন্তু সমস্যাটা দেখা দেয় অন্য জায়গায়।
আসলে ধূমপানের নেশা ছাড়াতে বাজারে চলতি যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে, তা বেশিরভাগই সেভাবে কোনো কাজে আসে না। সেই সঙ্গে যোগ হয়, নেশার প্রতি প্রবল আকর্ষণ। ফলে বছরের শুরুতে যত জন ধূমপান ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে বিপ্লব ঘোষণা করেন, বছর শেষে আদতে কতজন সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারেন, সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
যারা ধূমপান ছাড়তে বদ্ধপরিকর তাদের জন্য ঘরোয়া কিছু টোটকা দেওয়া হলো, যেটি অবলম্বন করলে এক মাসেই এ নেশা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
গোলমরিচ: ধূমপানের নেশা ছাড়াতে বাস্তবিকই গোলমোরিচের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই প্রাকৃতিক উপাদনটি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে একদিকে যেমন ধূমপান করার ইচ্ছা কমে যায়, তেমনি ধূপমান করার শরীরের যা যা ক্ষতি হয়েছে, তার প্রভাবও কমতে শুরু করে। ফলে কোনও জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, চটজলদি যদি এমন নেশার খপ্পর থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে নিয়মিত গোলমরিচ খেতে ভুলবেন না যেন!
এলাচ: একেবারেই ঠিক শুনেছেন, সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা কমাতে বাস্তবিকই এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল, এক্ষেত্রে কীভাবে কাজে লাগাতে হবে এলাচকে? কিছুই না যখন ধূমপান করতে মন চাইবে, তখন ২-৩ টা এলাচ মুখে ফেলে দেবেন। দেখবেন নিমেষে ধূমপান করার ইচ্ছা চলে যাবে, সেই সঙ্গে শরীরও চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
আঙুরের রস: নিকোটিনের কারণে শরীরের ভিতরে জমতে থাকা টক্সিন বেরিয়ে যেতে শুরু করলে একদিকে যেমন ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, তেমনি সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও কমতে শুরু করে। আর এই কাজে আপনাকে সাহায্য করতে পারে আঙুরের রস। কারণ এতে উপস্থিত একাধিক পুষ্টিকর উপাদান এবং স্বাস্থ্যকর অ্যাসিড শরীরকে ডিটক্সিফাই করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে শরীরে জমে থাকা বাকি ময়লাদেরও বাইরে বের করে আনে। ফলে রোগ মুক্তির পথে শরীর আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়।
পানি: দীর্ঘদিন ধরে সিগারেট খেলে আমাদের শরীরের একেবারে ভিতর পর্যন্ত চলে যায় নিকোটিন। যে কারণে ধূমপান ছাড়তে এতটা কষ্ট হয়। এক্ষেত্রে পানি দারুন কাজে আসে। কীভাবে? আসলে শরীরে টক্সিন হিসেবে জমতে থাকা নিকোটিনকে ধুয়ে বার করে দিতে পানির কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, তামাক এবং নিকোটিনের নানা ক্ষতিকর প্রভাব থেকে শরীরকে বাঁচাতেও পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
মধু: এতে উপস্থিত বেশ কিছু ভিটামিন, এনজাইম এবং প্রোটিন শরীর থেকে নিকোটিন বের করে দেওয়ার পাশাপাশি সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ধূমপান ছাড়তে কোনও অসুবিধাই হয় না।
আদা: ধূমপান ছাড়তে চাইলে আজ থেকেই আদার সাহায্য নিন। আসলে এতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান নানাভাবে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাকে দমিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ধূমপান ছাড়ার কারণে যেসব উইথড্রল সিম্পটন দেখা দেয়, সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাটাই চলে যায়। এক্ষেত্রে আদা চা বা কাঁচা আদা খেতে হবে। তবেই মিলবে উপকার।
ওটস: সিগারেটের নেশা ছাড়াতে ওটসের কোনও বিকল্প নেই। তাই তো বহুকাল আগে থেকেই ধূমপানের বিরুদ্ধে যে লড়াই চলছে তাতে সামিল করা হয়েছে এই উপাদানটিকে। ২ কাপ ফোটানো পানির সঙ্গে ১ চামচ ওটস মিশিয়ে সারা রাত রেখে দিন। পরদিন সকালে পানিটুকু পুনরায় ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে প্রতিটি খাবারের পর অল্প করে খেতে থাকুন। এমনটা করলে দেখবেন শরীর থেকে নিকোটিন বেরিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে কমে যাবে সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছাও।
ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট: নিকোটিনের মতো টক্সিনের সঙ্গে লড়াই করার জন্য নিজের সঙ্গে শক্তিশালী কাউকে না রাখলে কিন্তু এই অসম যুদ্ধে জেতা সম্ভব নয়। আর এক্ষেত্রে আপনার পাশে দাঁড়াতে পারে ভিটামিন। প্রতিদিন ভিটামিন- এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ ক্যাপসুল অথবা খাবার খেলে সিগারেটের নেশা একেবারে চলে য়ায়। সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে। প্রসঙ্গত, ভিটামিন আমাদের শরীরকে এতটাই চাঙ্গা করে দেয় যে সিগারেট ছাড়ার পর যে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, সেগুলো আর কোনও ভাবেই শরীর এবং মনকে কাবু করতে পারে না।
মুলার রস: ১ গøাস মুলোর রসের সঙ্গে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে দিনে দুবার করে খেলে ধূমপানের ইচ্ছা একেবারে কমে যায়। তাই তো এমন কু-অভ্যাস ছাড়াতে আজও মূলোর উপর ভরসা রাখেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা।
জিনসেং: ধূমপান বন্ধে করে দিতে কিন্তু তেমন কোনও কষ্ট হয় না। আসল লড়তে হয় সিগার খাওয়ার ইচ্ছার সঙ্গে। এই বিষাক্ত ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি দারুন উপকারে লাগে। এক চামচ জিনসেং পাউডার, জুসে বা সুপে মিশিয়ে প্রকিদিন সকালে খেলে সারা দিনের জন্য সিগারেট খাওয়ার ইচ্ছা চলে যায়। ফলে নেশার ফাঁস ধীরে ধীরে আলগা হতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, যদি দেখেন এক চামচে কাজ হচ্ছে না, তাহলে একটু বেশি করেও খেতে পারেন। সূত্র : বোল্ডস্কাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।