Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঈদ বাজার দখলে কলারোয়া সীমান্ত পথে প্রতিদিন আসছে ভারতীয় পণ্য

কলারোয়া (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আসন্ন ঈদের বাজার দখলে কলারোয়া সীমান্ত পথে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ভারতীয় পন্য পাচার হয়ে আসছে। একাধিক সীমান্ত সুত্রে জানায়, আসন্ন ঈদের বাজার দখল করার জন্য রাতে সীমান্ত পথে ভারতীয় পন্য পাচার হয়ে আসছে। রাতে রাস্তাঘাট ফাকাঁ হলে ভারতীয় পন্য সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু করে। রাতে ডুপ্লিকেট চাবি দিয়ে ভারতের তারকাটার বেড়ার গেট খুলে, কোথায় তারকাটার বেড়া কেটে এসব পন্য বাংলাদেশে পাচার করে আনা হচ্ছে। আর সোনাই নদী ও ইছামতি নদী সীমান্তে এসব পন্য বাংলাদেশে আনার জন্য বেশ কিছু নৌকা নিয়োজিত রয়েছে। এজন্য সীমান্তের কেড়াগাছি চারাবাড়ি ঘাট, কেড়াগাছি কুটিবাড়ি ঘাট, কেড়াগাছি রথখোলা ঘাট, কেড়াগাছি গাড়াখালী ঘাট, দক্ষিণ ভাদিয়ালী ঘাট, ভাদিয়ালী তেতুলতলা ঘাট, উত্তর ভাদিয়ালী কামারবাড়ি ঘাট, রাজপুর খা-বাগানের ঘাট, চান্দা স্লুইচ গেট ঘাট, বড়ালী স্লুইচ গেট ঘাট, উত্তর বড়ালী ঘাট, হিজলদী ভদ্রশাল ঘাট, হিজলদী শিশুতলা ঘাট, সুলতানপুর ঘাট, সুলতানপুর তালসারি ঘাট, গোয়ালপাড়া ঘাট, চান্দুড়িয়া ঘাট, চান্দুড়িয়া গাড়ালবাড়ি ঘাট, কাদপুর ঘাট খোলা রাখা হয়েছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে এসব ঘাট দিয়ে রোজা এবং আসন্ন ঈদের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী আসছে। এরমধ্যে পিয়াজ, ছোলা, বুট, ব্যাসন, আদা, সুজি, জিরা, মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচী, আঙ্গুর, আপেল, মালটা, ন্যাশপতি, বেদানা, কিসমিস, শার্ট পিস, প্যাণ্ট পিস, রকমারী পাজ্ঞাবী, থ্রিপিস, টুপিস, জর্জেট শাড়ি, ওড়না, গেজ্ঞী, জাঙ্গিয়া, ব্রেশিয়ার, শিশু পোশাক, বালিশের কভার, বেডশিট, তোয়ালে, সিট কাপড়, উন্নতমানের বোম্বে প্রিণ্ট শাড়ি, সাউথ ইন্ডিয়ান সিল্ক, কাতান, বেনারসী, স্পজ্ঞ স্যান্ডেল, ফাইবার স্যান্ডেল, চামড়ার স্যান্ডেল, চামড়ার জুতা, আতর, সেণ্ট, বডি লোশন, রকমারী ক্রিম, সেভিং লোশন, সেভিং ক্রীম, হাড়ি, কড়াই, স্টিলের প্লেট, গ্লাস, বাটি, গামলা, বালতি, কড়ির কাপ, পিরিচ, প্লেট, গামলা, ডিনার সেট, শিশু খেলনা, ইমিটেশন অলংকার, সেনেটারী ব্যাসিন, পাইপ, প্যান, বৈদ্যুতিক বাল্বের ফিলামেণ্ট, এলইডি বাল্ব, ফ্যান, ঘর ওয়ারিং সামগ্রী স্লুইচ, সিলিং রোজ, সকেট, বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল থ্রি-হইলার বাস ট্রাকের টায়ার, টিউব, চ্যাসিস, খুচরা যন্ত্রাংশ, টিভি কার্ডসহ যন্ত্রাংশ, নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ, শপিং ব্যাগ অন্যতম। এছাড়া সীমান্ত খোলা থাকার সুবাদে বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ, ফেনসিডিল, মদ, গাজা, আফিম, ভাং, সিদ্ধি, প্যাথেড্রিন, এনাগ্রা, ভায়াগ্রাসহ নানা প্রকার যৌন উত্তেজক সামগ্রী পাচার হয়ে আসছে। সুত্র অনুযায়ী, রাতে মুক্তিবাড়ি, বালিয়াডাঙ্গা বাজারে, বোয়ালিয়া, পাচপোতা, সোনাবাড়িয়া মঠ, কোমরপুর কুঠির পুল, সিংগা রাস্তা, কোটার মোড়, নকাটি বিলে রাস্তা, ব্রজবাকসা, বুঝতলা, রামভদ্রপুর, বয়ারডাঙ্গা রাস্তায় ট্রাক বা পিকআপ বা মাইক্রো ভরে এসব পন্য দেশের অভ্যান্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
সীমান্তের বাজারে পন্য সরবরাহের নামে আগত বিভিন্ন কোম্পানির ডেলিভারিভ্যানে এসব ভারতীয় পন্য বহন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আবার পন্যের কিছু অংশ সাইকেল, মোটরসাইকেল, ইঞ্জিলভ্যান, নসিমন বা আলমসাধু ভরে বাগআচড়া বাজার, বাকড়া বাজার, মনিরামপুর বাজার, কেশবপুর বাজার, রাজগজ্ঞ বাজার, নওয়াপাড়া বাজার, পাটকেলঘাট ও চুকনগর বাজারে নেয়া হচ্ছে। এরপর এসব পন্য পাইকগাছা, বৈটিয়াঘাটা, তালা, দাকোপ, ফুলতলা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালীসহ খুলনা বিভাগীয় সদর ও রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এভাবে দক্ষিণাঞ্চলের ঈদের বাজার সস্তা দামের চাকচিক্যময় ভারতীয় পন্যে সয়লব হয়ে গেছে। সীমান্তের কতিপয় নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বরের মধ্যস্থতায় অসাধু সীমান্তরক্ষীরা বখরা নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ