Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বুড়িচং-রামপুর সড়ক চলাচল অনুপযোগী

বুড়িচং (কুমিল্লা) থেকে আলমগীর হোসেন | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০১৮, ১২:০০ এএম

কুমিল্লার উপজেলার অত্যন্ত জনগুরুত্ব সম্পন্ন সড়ক বুড়িচং-রামপুর সড়কটি অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে এখন যানবাহন ও জনগণের চলাচলে অনোপযোগী হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ আ.লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. আবদুল মতিন খসরু এমপির নির্দেশে স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বুড়িচং রামপুর সড়ক পরিদর্শন করেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান। পরিদর্শন শেষে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত মেরামতের কথা জানান।
বুড়িচং উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের মধ্যে উক্ত উপজেলা দিয়ে গোমতি নদী প্রবাহের ফলে এর পূর্বপাশে বুড়িচং সদরসহ ৫ টি ইউনিয়ন রয়েছে আর পশ্চিমপাশে রয়েছে ময়নামতি, মোকাম, ভারেল্লা উত্তর-দক্ষিণসহ ৪ টি ইউনিয়ন। নদীর উভয় পাড়ের মানুষদের দ্রæত সময়ে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে বুড়িচং ভায়া কুসুমপুর রামপুর সড়কটি ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছিল। কিন্তু, অতি সম্প্রতি গোমতি নদী থেকে বালু বাহী ট্রাক ও হেভী সম্পন্ন ট্রাক্টর নিয়ে মাটি আনা নেয়ার কারণে সড়কটি কুসুমপুর ও এদবারপুর এলাকা জুড়ে প্রায় ২ কি: মি: চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে, স্মরণকালে সবচেয়ে খারাপ রূপ ধারণ করেছে। ফলে উভয় পাড়ের হাজার হাজার জনগণ ও তাদের মালামাল নিয়ে বুড়িচং উপজেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলে ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখিন হয়। জনগণের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এড. আবদুল মতিন খসরু এমপির নির্দেশে যান চলাচলের অনোপযোগী ওই সড়কটি স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে পরিদর্শন করেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান। পরিদর্শন শেষে তিনি স্বল্প সময়ের ভেতরে তা মেরামত করে আবার ও চলাচলের উপযোগী করে তোলা হবে বলে জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন ময়নামতি ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার, ভারেল্লা (দ:) ইউপি চেয়ারম্যান শাহ কামালসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিরা।
এছাড়া, উপজেলার রাজাপুর লড়িবাগ বারেশ^র সড়ক, রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় হয়ে জরইন, হরিপুর হয়ে যে সড়কটি বুড়িচং উপজেলা সদরে এসে পৌঁছেছে ওই সড়কের বেশীর ভাগ অংশে পলেস্তরা খসে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। শীতকালে যেমন তেমন গ্রীষ্মকালে ওই সমস্ত গর্তে পানি জমাট বদ্ধ হয়ে খানা খন্দকে পরিণত হয়ে যানবাহন থাক দূরের কথা বেশীরভাগ মানুষ পায়ে হেঁটে ও চলাচল করতে ব্যাপক অসুবিধার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
৪ নং ষোলনল ইউনিয়নের ভরাসার টু ষোলনল বাবুর বাজার, সোনাইসার, ভান্তি, বালিখাড়ার আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে যে কোন যান চলাচলে ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এছাড়া ওই ইউনিয়নের মহিষমারা নানুয়ার বাজার ও রামনগর সড়কের বেহাল দশায় দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ৫ নং পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর টু কংশনগর ও সাদকপুর হতে পীরযাত্রাপুর সড়কের বেহাল দশা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ৭ নং মোকাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফজলুল হক মুন্সী জানান- ওই ইউনিয়নের পরিহলপাড়া চেয়ারম্যান বাড়ি সড়ক, বাড়িকোটা সড়ক ও গঁজারিয়া হতে আবিদপুর যাওয়ার আঞ্চলিক সড়ক অতি জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা প্রয়োজন। ৬ নং ময়নামতি আদর্শ ইউপি চেয়ারম্যান লালন হায়দার জানান- ওই ইউনিয়নের হাজার হাজার জনগণ যে একটি নতুন রাস্তা নির্মাণ হলে সহজের যাতায়াত করতে পারবে তা হলো- কালাকচুয়া মৈশান বাড়ি হতে কালাকচুয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রায় দেড় কি.মি. আঞ্চলিক সড়ক এবং নামতলা শিকাপুর সড়ক অন্যতম। এছাড়া, ওই ইউনিয়নের অন্যান্য সড়ক ও মেরামত করা দরকার।
বর্তমান সরকার গ্রামীণ সড়ক নির্মাণে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রদান করে আসছে। অথচ সরকার উপজেলার সাথে গ্রামীণ সংযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন কর্মসূচি প্রদান করলে ও সেগুলো যথাযথ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সম বন্টনের ঘাটতি রয়েছে। যদি ও অনেক নেতারা নির্বাচনের আগে বলে থাকেন সম বন্টন নিশ্চিতের পাশাপাশি উপজেলার অবহেলিত জনপদের সব কাচা সড়কের নির্মাণসহ গ্রামের অলি গলি পাকা করে দিবেন। কিন্তু বাস্তবে এর বাস্তবায়ন কমই হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক চলাচল
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ