Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে সুন্দরবনে ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই জাহাজ উদ্ধার

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ মে, ২০১৮, ১০:২৯ এএম

সুন্দরবনের পশুর নদীর হারবারিয়া এলাকায় ডুবে যাওয়ার ৪৬ দিন পর এমভি বিলাস নামের জাহাজটি অবশেষে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার জাহাজটি দুই টুকরো করে উদ্ধার করা হয়। জাহাজটিকে টাকবোট দিয়ে টেনে ১১ নটিক্যাল মাইল দূরে মোংলার কানাইনগর বাইদ্দার চরে রাখা হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার মো. ওলিউল্লাহ বলেন, ডুবন্ত জাহাজ এমভি বিলাসকে দুই টুকরো করে নদী থেকে টেনে তুলেছে আমদানিকারকরা। জাহাজ থেকে পানি-পলিমাটি মিশ্রিত কয়লা পাম্পের মাধ্যমে উত্তোলন করে ৪০০ টনের একটি বাল্কহেডে করে যশোরের নওয়াপাড়া নিয়ে গেছে আমদানিকারকরা।
এমভি বিলাসের ব্যবস্থাপক (অপারেশন) লালন হাওলাদার বলেন, জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর থেকে আমরা তোলার জন্য চেষ্টা করছিলাম। ২৪ এপ্রিল আমরা উদ্ধারকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স হোসেন স্যালভেস কোম্পানির সঙ্গে এ ব্যাপারে চুক্তি করি। এরপর থেকে প্রথমে জাহাজের কয়লা উত্তোলন করা হয়। কয়লা উত্তোলন করে আমরা নওয়াপাড়ায় নিয়ে রেখেছি। হোসেন স্যালভেসের ২৪ জন এবং আমাদের (মালিকপক্ষের) ১২ জন ডুবুরিসহ অনেকের চেষ্টায় আমরা জাহাজটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর এ কে এম ফারুক হাসান বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে উদ্ধারকারী জাহাজ কেনা জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য আমরা একটি প্রকল্প তৈরি করছি। যতদ্রুত সম্ভব উদ্ধারকারী জাহাজ কেনার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।
এ ব্যাপারে মোংলা পৌরসভার মেয়র ও বন্দরের মাস্টার স্টিভিডরস জুলফিকার আলী বলেন, মোংলা বন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজের আগমন বেড়েছে। সে কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও বেড়ে গেছে। কিন্তু খুলনায় বিআইডব্লিউটিএ কিংম্বা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্ধারকারী কোনো জলযান নেই। প্রয়োজন হলে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ নিয়ে আসা হয়। সে কারণে কোনো জাহাজ এ এলাকায় ডুবলে উদ্ধার করতে দেরি হয়। ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহামুদুল হাসান জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ জাহাজটি উদ্ধার করতে পারেনি। ফলে সুন্দরবনের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তির জন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবো।
বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি বাহারুল ইসলাম বাহার জানান, কয়লা অপসারণ করে কার্গোটি উদ্ধার করা হয়েছে। নৌ-পরিবহন মালিকপক্ষ, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও কার্গো মালিকপক্ষের সবাই জাহাজটি পরিদর্শন করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল ভোরে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়া পয়েন্টে ৭৭৫ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি লাইটার ভ্যাসেল ডুবে যায়। এসময় জাহাজে থাকা নাবিকসহ ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাহাজ উদ্ধার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ