Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাপবিবোর্ড এর প্রতিবাদ

প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ‘বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নামে টাকা পাঠানো হয়’ শিরোনামে গত ২ মার্চ দৈনিক ইনকিলাব-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাপবিবোর্ড। ‘বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবোর্ড) পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রতিবেদনে উল্লিখিত প্রকল্পের বিপরীতে জাইকা হতে মোট ১৩ হাজার ২৪১ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন ঋণ নেয়া হয়। এই ঋণের অর্থ দুটি পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হচ্ছ।
প্রথমত, বিটিএমইউ সেটা গ্রহণ করে জাইকা জাপান অফিসে প্রেরণ করে। অতঃপর জাইকা তা যাচাই-বাছাইপূর্বক অর্থ ছাড়ের জন্য সরবরাহকারীর ব্যাংককে নির্দেশনা দেয়। এক্ষেত্রে যদি ইনভয়েসে কোনো ধরনের ক্রটি-বিচ্যুতি দেখা যায় তাহলে জাইকা অর্থ ছাড় না করে তা বাপবিবোর্ড অথবা তাদের ব্যাংককে অবহিত করে। সেই ক্ষেত্রে বাপবিবোর্ড তার ব্যাংকের মাধ্যমে জাইকার ব্যাংককে বিটিএমইউ অবহিত করে। পরিশেষে জাইকা এবং জাইকার ব্যাংকের বিটিএমইউ সন্তুষ্টি নিশ্চিত হয়ে জাইকার ব্যাংক তখন সরবরাহকারী/ঠিকাদারের ব্যাংক হিসাবে অর্থ প্রদান করে।
দ্বিতীয়ত, স্থানীয়ভাবে অর্থ পরিশোধের নিয়ম হচ্ছে-ঠিকাদারের বিল প্রকল্প অফিসের দাখিলের পর প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর কর্তৃক পুংখানুপুংখভাবে পরীক্ষান্তে জাইকা বাংলাদেশস্থ অফিসের পুনঃপরীক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হয়। জাইকা বাংলাদেশস্থ অফিসের পুনঃপরীক্ষণের পর ইনভয়েস/বিল জাইকা সদর দপ্তর টোকিও জাপানে প্রেরণ করা হয়। জাইকা সদর দপ্তর কর্তৃক চূড়ান্ত পরীক্ষণের পর বর্ণিত ইনভয়েস “ব্যাংক অব টোকিও”, মিটসুবিশি জাপানে প্রেরণপূর্বক জাইকা প্রকল্প পরিচালকের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের জন্য অগ্রায়ণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক জাইকা প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরকে “ব্যাংক অব টোকিও” কর্তৃক ছাড়কৃত অনুমোদিত অর্থের পরিমাণ অবহিত করে।
তৎপ্রেক্ষিতে জাইকা প্রকল্প পরিচালকের দপ্তর কর্তৃক সকল কর্তনযোগ্য অর্থ বাদ দিয়ে সরবরাহকারী/ঠিকাদারের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পরিশোধযোগ্য প্রত্যায়িত অর্থ প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে পত্র প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক সরবরাহকারী/ঠিকাদারের অ্যাকাউন্টে অর্থ সরবরাহপূর্বক জাইকা প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরকে অবহিত করা হয়। বর্ণিত পদ্ধতিতে জাইকা প্রকল্পের সরবরাহকারীর অ্যাকাউন্টে স্থানীয় মুদ্রায় অর্থ পরিশোধ করা হয়।
কাজেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ফান্ড হতে শ্রীলঙ্কায় অর্থ প্রেরণের কোনো সম্ভাবনাই নাই।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাপবিবোর্ড এর প্রতিবাদ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ