বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ। অনেক শিক্ষকই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস না নিয়েই ফরিদপুর জেলার বাইরে গিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রাকটিস করছে। এদিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার এই শিক্ষকদের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও কোনো কাজে আসছে না কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের। এভাবে চলতে থাকলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা ভালো ডাক্তার হতে পারবে কি না সন্দেহ রয়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের প্রায় শতাধীক শিক্ষকদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রায় ২০ জন শিক্ষক নিয়মিত কলেজে অনুপস্থিত থাকে। তাদের মধ্যে অন্যতম রয়েছেন সহযোগী অধ্যাপক ফারুক আহমেদ (মেডিসিন), সহযোগী অধ্যঅপক হাফিজ আহমেদ নাজমুল হাকি (সার্জারী), সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো: শাহীনুর রহমান (চক্ষু), সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: আনিসুর রহমান হাওলাদার (মেডিসিন), সহকারী অধ্যাপক ইকবাল হোসেন(মেডিসিন), সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: সাইফুল হক ইবনে মজিদ (রেজিওলজি), সহকারী অধ্যাপক ডা. আতাউর রহমান (গ্যাসট্রোএ্যান্ট্রলোজি), সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: শাহবুব আলম (ইএনটি), সহকারী অধ্যাপক ডা. মনিরুল ইসলাম (নিউরো সার্জারী), সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: মিজানুর রহমান শিবলী (শিশু সার্জারী), সহকারী অধ্যাপক ডা. মো: মোস্তফা কামাল (বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারী), সহকারী অধ্যাপক ডা. শাহারীয়ার আজাদ (কার্ডিওলজি)।
এসকল ডাক্তারাই বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের নাম ভাঙ্গিয়ে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা না দিয়ে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা করে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে ২০ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
বিশ্বস্ত একটি সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালকের কার্যালয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সচিব মহোদয় এবং মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে এসকল ডাক্তাররা কর্মস্থলে থাকে না। আরো জানা যায়, এসকল ডাক্তারদের প্রভাবশালী একটি রাজনৈতিক মহল আশ্রয় দিয়ে আসছে। ওই আশ্রয়ের ভরসায় এসমস্ত নৈরাজ্য কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে অবসরপ্রাপ্ত একাধিক ডাক্তাররা জানান, আমরা যখন ডাক্তারী করেছি আমাদের নিকট রাজনৈতিক নেতা এমপি মন্ত্রীরা ধমক সুরে আদর দিয়ে বলেছেন আমার এই রোগীটি গেল এর চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন। এখন আর ওই ধরণের ব্যাপার স্যাপার নেই। এখন রোগীরা যদি কোনো রাজনৈতিক নেতা, এমপি, মন্ত্রীর নিকট ডাক্তারদের নালিশ নিয়ে যায় তাহলে উল্টো ওই রোগীকেই ভৎসনা করা হয়। সকল নেতাকর্মীরা দুর্নীতিবাজ ডাক্তারসহ অন্যান্য দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সাফাই গান। তারা আরো বলেন, ওই অসহায় রোগীরাই নির্বাচনের সময় ভোট দিয়ে এমপি বানিয়েছেন। ওই দুর্নীতিবাজ ডাক্তারা ভোট দিয়ে এমপি বানান নাই। এখনও সময় আছে রাজনৈতিক নেতাসহ ডাক্তারদের অনিয়মগুলো খতিয়ে দেখার। অন্যথায় আগামীতে ডাক্তাররা আরো বিপরোয়া হয়ে উঠবে।
ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকমত ক্লাস না নেওয়ার কারণে পরবর্তী প্রজম্মের ডাক্তারা রোগীদের সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবে না বলে মনে করেন অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তারা।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খবির উদ্দিন জানান, কোন কোন শিক্ষক ক্লাস নেন না এ বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে যারা ক্লাস ফাঁকি দেন তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।