পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পাঁচশ’ শয্যার অবকাঠামো আর জনবল দিয়ে ১ হাজার শয্যায় উন্নীত করা বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুরানো জনবলেরই অর্ধেক পদ শূন্য থাকায় পুরো হাসপাতালটিই এখন ধুকছে। অথচ এ হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসাধীন রোগী থাকছে প্রায় ১৮শ’। সংলগ্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষকের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পদ শূন্য থাকায় তারও বিরূপ প্রভাব পড়ছে এ হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায়।
দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ এ হাসপাতালটিতে ৫শ’ শয্যার বিপরীতে অনুমোদিত ২২৪ জন চিকিৎসক পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ১১৩ জন। ১১১টি পদেই কোন জনবল নেই। এমনকি হাসপাতালটির ১০টি ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসারের পদে কর্মরত মাত্র ৩ জন। ফলে এ হাসপাতালের দরজায় পা রেখেই চিকিৎসা প্রত্যাশীদের বিপদে পড়তে হচ্ছে।
চিকিৎসক অভাবের সাথে সংশ্লিষ্ট অনেকের আন্তরিকতার ঘাটতিতে সরকারি এ চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা লাভ অত্যন্ত দূরহ বলে অভিযোগ রোগী ও তাদের স্বজনদের। এমনকি অনেক চিকিৎসক নিয়মমত হাসপাতালে রোগী না দেখায়ও অনেক রোগীকেই বাড়তি দিন হাসপাতালে থাকতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অনেক ওয়ার্ডেই চিকিৎসা ব্যবস্থার সিংহভাগ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ওপর নির্ভরশীল বলেও অভিযোগ রোগীদের। এ হাসপাতালের মেঝেতে এখন বেডের প্রায় সমান রোগী। কোন কোন ওয়ার্ডে বিভাগীয় প্রধানসহ সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকরা নিয়মিত ওয়ার্ডে না আসায় রোগীদের দুর্ভোগ চরমে। শিশু বিভাগসহ অনেক ওয়ার্ডেই সময়মত সঠিক চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতালে বাড়তি দিন অবস্থান করতে হওয়ায় রোগীদের আর্থিক ক্ষতিও বাড়ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। প্রায় প্রতিটি ওয়ার্ডেই ক্ষমতার দ্বিগুণেরও বেশি রোগী চিকিৎসাধীন থাকছে। হাসপাতালটির নিজস্ব জনবল সঙ্কট পরিস্থিতিকে ক্রমশ জটিল করে তুলছে। বিভিন্ন বিভাগের ৩৩টি রেজিস্ট্রার পদের ১৪টিই শূন্য। ৬৬টি সহকারী রেজিস্ট্রার পদের বিপরীতে ৪৭টিতেই কোন জনবল নেই, কর্মরত মাত্র ১৯ জন। নবসৃষ্ট ২০টি মেডিকেল অফিসার পদে আছেন মাত্র ৬ জন। ২০টি ইনডোর মেডিকেল অফিসার পদের বিপরীতে কর্মরত ১২ জন।
এছাড়া হাসপাতালটির বহির্বিভাগের মেডিকেল অফিসার, সহকারী সার্জন, রেডিওলজিস্ট, স্বতন্ত্র রক্তরোগ, রেডিও থেরাপিস্ট ও ডেন্টাল সার্জনের ৪৬টি পদের বিপরীতে কর্মরত মাত্র ২৯ জন। এমনকি এ হাসপাতালটিতে ডেন্টাল বিভাগের একমাত্র জুনিয়র কনসালটেন্টের পদটিতেও কোন জনবল নেই দীর্ঘদিন।
এছাড়া হাসপাতালে ৩য় শ্রেণির ১৪৬টি পদের মধ্যে ৩৭টি পদ শূন্য। তবে এর চেয়েও খারাপ অবস্থা ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়ে। ৫শ’ শয্যার জন্য মঞ্জুরিকৃত ৪২৬টি ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদের ১৭৭টি পদে কোন জনবল নেই। ফলে গোটা হাসপাতালটিতে অপরিচ্ছন্নতার ছাপ স্পষ্ট। অনেক ওয়ার্ডেই নাকে রুমাল দিয়ে থাকতে হচ্ছে রোগীদের। হাসপাতালের প্রায় সব ওয়ার্ডের শৌচাগারগুলো ব্যবহারের অনেকটা অনুপযোগী।
এসব বিষয়ে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম জানান, জনবল সঙ্কটের বিষয়টি নিয়মিতভাবেই স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই কিছু চিকিৎসক নিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন বলে পরিচালক জানান। ওয়ার্ডে সিনিয়র চিকিৎসকদের অনুপস্থিতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তারা মেডিকেল কলেজে কর্মরত। তারপরেও বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে নিয়মিত কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।