Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আ.লীগ এগিয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আতঙ্কে

প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বেনাপোল অফিস
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যে যশোরের শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে এখন বইছে আগাম নির্বাচনী হাওয়া। এ নিয়ে এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। শার্শা উপজেলার ইউপি নির্বাচনের এখনও তফসিল ঘোষণা হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদে যারা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন তারা পার্টির উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করতে সময় দিচ্ছেন। এমপি মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ। ভোটারদের মন জয় ও এলাকা গোছানোর পাশাপাশি তারা নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতাদের দৃষ্টি আকষর্ণের নানা কৌশল করে যাচ্ছেন। এখানে ক্ষমতাসীন দলের দুটি গ্রুপ থাকায় প্রার্থীরাও রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বে। মনোনয়ন পেতে প্রার্র্থীরা সকালে মেয়রের কাছে গেলেও রাতে তারাই যাচ্ছে এমপির কাছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইউনিয়নবাসীদের ব্যানারে পোস্টার ছাপিয়ে দোয়া ও সমর্থন কামনা করেছেন। ১১টি ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা অনেক এগিয়ে গেলেও বিএনপির প্রার্থীরা রয়েছে আতঙ্কে। ক্ষমতাসীনদলের প্রার্থীদের সামনে দাঁড়াতে পারবে কিনা এ নিয়ে সংশয়ে রয়েছে তারা। জামায়াত, জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য দলের কোন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে না। উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থী কেন্দ্র থেকে জেলা পর্যায়ে নেতাদের সঙ্গে জোর লবিং চালাচ্ছেন। এই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী বিপাকে পড়েছেন। অপরদিকে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা রয়েছেন নানা কারণে শংকিত ও নিবিড় পর্যবেক্ষণে। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের বিশ্বাস দলীয় মনোনয়ন পেলে তারা ইউপি নির্বাচনে নিশ্চিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন। ইউনিয়নের সর্বত্র প্রধান আলোচ্য বিষয়, কে পাচ্ছেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক। অন্যদিকে ১১ ইউনিয়নে ধানের শীষের বিএনপি’র প্রার্থীর আগ্রহীদের তালিকা কিছুটা কম। ধীরে ধীরে তারা মাঠ গোছাচ্ছেন। শীর্ষ নেতাদের সাথে কথা বলেও প্রার্থীদের নাম পাওয়া যায়নি। উপজেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুজ্জামান মধু জানান, ১১টি ইউনিয়নে আমাদের প্রার্থী আছে। সম্ভবত চতুর্থ ধাপে আমাদের এখানে নির্বাচন হবে। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে আমরা প্রার্থী আহ্বান করে আবেদন জেলায় পাঠাবো। তারপর জেলা কেন্দ্রে পাঠাবে। সেখান থেকে যার নাম আসবে সেই প্রার্থী হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি শার্শার অডিটোরিয়ামে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ১১টি ইউনিয়নে অর্ধশতাধিক প্রার্থী তাদের নাম জমা দিয়েছেন। এ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন। ওই সভায় দেশ ও জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে দেশনেত্রী যাকে নৌকা মার্কা প্রতীক মনোনয়ন প্রদান করবেন তাকেই আগামী ইউপি নির্বাচনে বিজয়ী করার জন্য নিঃস্বার্থভাবে সকলকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত ছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে তারা বহিষ্কার হয়ে যাবে। দলীয় মনোনয়ন প্রার্থী বাছাইয়ে কোন স্বজনপ্রীতির আশ্রয় নেয়া হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন জেলা নেতৃবৃন্দ বলে জানান তিনি। শার্শার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে দলীয় প্রতীক নৌকা মার্কা পাওয়ার জন্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পাওয়ার জন্য যারা আবদেন করেছেন বিভিন্ন সূত্রের সঙ্গে কথা বলে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকায় উঠে এসেছে অনেকের নাম। তাদের মধ্যে ১নং ডিহি ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল হক বকুল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল খালেক ও সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুর রহমান। ২নং লক্ষণপুর ইউনিয়নে ইউনিয়ন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন ও ইউপি মেম্বার আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন শান্তি। ৩নং বাহাদুরপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান। ৪নং বেনাপোল ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বজলুর রহমান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুজ্জামান সহিদ। ৫নং পুটখালি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গাফফার ও সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। ৬নং গোগা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার আলী। ৭নং কায়বা ইউনিয়নে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান ফিরোজ আহম্মদ টিংকু, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বাবলু ও আলতাফ হোসেন। ৮নং বাগআঁচড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক ইলিয়াস কবির বকুল ও শফিক ধাবক। ৯নং উলাশী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আয়নাল হক ও সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল আলম, ১০নং শার্শা ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আসিফ-উদ-দ্দৌলা সরদার অলোক ও সাবেক চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন আহম্মদ তোতা। ১১নং নিজামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, সেলিম রেজা বিপুল, বদিয়ার রহমান ও মহিনুর রহমান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আ.লীগ এগিয়ে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা আতঙ্কে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ