Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষীপুরে অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে জ্বালানি তেল পেট্রল ও অকটেন বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা

মো.কাউছার, লক্ষীপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

লক্ষীপুরে কাপড়.চা মুদি.রড ও সিমেন্টের দোকানসহ সর্বত্রে পাওয়া যাচ্ছে জ্বালানি তৈল পেট্রল ও অকটেন। অবৈধ এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা এ বিপজ্জনক ব্যবসা করে আসছেন বছরের পর বছর। জ্বালানী তৈলের ব্যবসা করতে জেলা প্রশাসক ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ সরকারী নানা সংস্থার অনুমোদন বাধ্যতামূলক থাকলেও এসব ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের নেই কোন অনুমোদন। এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের নেই কোন উদ্যোগ। যে কোন সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। তবে অনুমোদন নিয়ে জ্বালানী তৈলের ব্যবসা করার কথা অনেক ব্যবসায়ীর জানা নেই বলে জানান তারা।
জানাগেছে,লক্ষীপুর সদর, রায়পুর, রামগতি, কমলনগর ও রামগঞ্জসহ ৫টি উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার ও রাস্তার দু-পাশে গড়ে উঠেছে শত শত জ্বালানী তৈল পেট্রল ও অকটেনের দোকান। এছাড়া লক্ষীপুর-রামগঞ্জ,-রায়পুর ও রামগতি আঞ্চলিক সড়কের দু-পাশে ব্যাঙ্গের ছাতার মত গড়ে উঠেছে এসব অবৈধ ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে কাপড়, চা, মুদি, রড, সিমেন্টের দোকান, বিপজ্জনক ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় এসব প্রতিষ্ঠান খুলে ড্রামে করে তৈল এনে বিক্রি করছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। এতে করে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে জেলা প্রশাসক ও বিস্ফোরক অধিদপ্তরসহ সরকারী বিভিন্ন সংস্থার অনুমোদন বাধ্যতামূলক রয়েছে। কিন্তু এখানো সরকারীভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের নেই কোন অনুমোদন। এ দিকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় প্রায় অর্ধশতাধীক প্রতিষ্ঠানের সরকারীভাবে অনুমোদন রয়েছে। এছাাড়া হরতাল অবরোধসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামের সময় এসব অবৈধ দোকান থেকে পেট্রল কিনে নিয়ে নাশকতার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। হরতাল অবরোধসহ বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম চলাকালীন নাশকতাকারীকে পেট্রলসহ পুলিশ গ্রেপ্তারও করেছে। এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন এবং তৈল বিপণন কোম্পানীর লোকজনের যোগসাজশে এ অবৈধ ব্যবসা চলছে বছরের পর বছর এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। তাই দ্রæত এসব অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করে দুর্ঘটনার হাত থেকে জনসাধারসনকে রক্ষা করার দাবী জানান জেলাবাসী।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন বলেছেন, এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুলিশের নজরদারীতে রয়েছে। তদন্ত করে অনুমোদন বিহীন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ