পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, দেশের মাদক ব্যবসায়ীরা সরকারের মদদপুষ্ট। সরকার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়ে এখন নির্বিচারে মানুষ হত্যা করছে। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে সরকার এতোদিন চুপ ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তাদের কাছে তালিকা আছে। তাহলে এই অভিযান আগে থেকে চালিয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি কেন? কারণ হলো এই মাদক ব্যবসায় তাদের নেতারা জড়িত। হাজার হাজার কোটি টাকা তারা এখান থেকে আয় করেছে। আর তাই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে নির্বিচারে মানুষ মারা শুরু করেছে সরকার। ১৭ দিনে ৫৮ জন মানুষ মারা গেছে। মানুষের কি জীবনের কোন মূল্য নেই?
বিএনপির এই নেতা বলেন, যাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে এরা তো মালিক না। এরা বাহক। তারা বিক্রি করে মালিককেই দেয়। সেই মালিক কারা? তারা এই সরকারের মদদপুষ্ট। এভাবে মানুষ হত্যা বন্ধ করুন। মাদক ব্যবসা উচ্ছেদ হোক। কিন্তু মানুষ মারা হোক সেটা চাই না।
আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গ তুলে মওদুদ বলেন, এখন তারা খুলনা স্টাইলে গাজীপুরে নির্বাচন করতে চায়। তারা যদি সে চেষ্টা করে এবার আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে সেটা প্রতিহত করার চেষ্টা করবো। আমরা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তাদের বাধা দিবো।
নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এরা সরকারের একটি তল্পিবাহক নির্বাচন কমিশন। সরকার যা চাইবে তারা তাই করবে। আচরণবিধি পরিবর্তন করছে। এখন সংসদ সদস্য প্রচারণা চালাতে পারবে। সংসদ সদস্য মানে তো আওয়ামী লীগের। এরা যেন প্রচারণা চালাতে পারে। এটির দূরভিসন্ধিমূলক লক্ষ্য আছে।
তারা আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে এটি করেছে। তারা সংসদ রেখে আগামী নির্বাচন করতে চায়। তাই এই নিয়ম রেখেছে। সংসদ সদস্য থেকেই নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর জন্য করেছে। আচরণবিধি পরিবর্তন করা ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই প্রতিবাদী নাগরিক সভার আয়োজন করে 'খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ'। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রমজানের পর রাজপথের আন্দোলনের দিকে ইঙ্গিত করে মওদুদ বলেন, আন্দোলন ছাড়া জনগণের কোনো দাবি কোনদিন কোনোভাবে আদায় করা হয়নি। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার একমাত্র পথ রাজপথ। রমজান মাসের পরে আমাদেরকে কঠোর কর্মসূচির কথা চিন্তা করতে হবে। আর সে ভাবেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলন গণতন্ত্রের আন্দোলন। এটি অব্যাহত থাকবে। আমরা বর্তমান অবস্থার অবসান চাই।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আশা করবো প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরবেন না। আমরা আশা করি তিনি তিস্তার পানি চুক্তি বাস্তবায়ন করেই ফিরবেন। আর না হলে আমরা বলবো তিনি ব্যর্থ হয়েছেন।
আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরীন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।