পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদকের সঙ্গে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্যসহ সরকারের প্রভাবশালীরাও ছাড় পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পরিস্কার নির্দেশ মাদক ব্যবসার সঙ্গে, ড্রাগ ড্রিলিংয়ের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত, যত প্রভাবশালীই হোক তাদেরকে অবশ্যই এই অভিযানের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানে বিএনপির গাত্র দাহ শুরু হয়েছে। এটা নিয়ে বিএনপি এত চিৎকার করতে কেন? তাদেরও বহু লোক জড়িত, তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না, বলেও হুঁশিয়ারী দেন কাদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিআরটিএ এর ভ্রাম্যমান আদালত পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। সরকার দলীয় কক্সবাজারের এমপি আব্দুর রহমান বদি মাদকে সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার পরেও কেন তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেই জানতে চাইলে কাদের বলেন, আব্দুর রহমান বদি কেন? আরও প্রভাবশালী কেউ যদি সরকারী দলের হয়। যে তালিকাগুলো পাওয়া যাচ্ছে তাতে এমপিদের নামও পাওয়া যাচ্ছে। নাম আসেনি, কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে।
বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকার পরেও ধরা হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রমাণ করতে হবে, প্রমান ছাড়া তো কাউকে ধরা যায় না। এক জন এমপিকে চট করে ধরা যায় না। প্রমাণ হলে সে যদি অপরাধী হয় অবশ্যই তার শাস্তি হবে। সরকার বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড করছে বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ ধরণের বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড সমর্থন করি না, এটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু মাদক ব্যবসা যারা করে তাদের একটা সিন্ডিকেট আছে, তাদের সন্ত্রাসী আছে। তাদের সঙ্গে অ¯্রধারী আছে। যখন পুলিশ তাদের ধরতে যায় তখন অ¯্র নিয়ে মোকাবিলা করে, এনকাউন্টার হয়। এনকাউন্টার তো বিচার বহির্ভুত হত্যাকান্ড নয়। যারা ধরতে যাবে তারা অ¯্র নিয়ে মোকাবিলা করছে। তাহলে পুলিশ কি ওখানে জুঁই ফুলের গান গাইবে? তারা এটার কাউন্টার করবে না ?
বিএনপির বক্তব্যের জবাবে কাদের আরও বলেন, বিএনপিকে আমি জিজ্ঞাসা করবো প্রধানমন্ত্রীর এই সরকারের আমলে সাড়ে নয় বছরের মধ্যে আপনারা কি কোন রাজনৈতিক কোন সভায় মাদকের বিরুদ্ধে একটি কথা কি বলেছেন? আপনারা গালিগালাজ ছাড়া মাদকের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে একটি কথা বলেছেন? একটি শব্দও আপনারা উচ্চারণ করেননি। কাজেই এই ব্যাপারে কথা বলার আপনাদের কোন অধিকার নেই।
কাদের বলেন, আজকে মাদকের যে ভয়ঙ্কর অবস্থা এসেছে সকলে মিলে যদি আমরা সব দল সোচ্চার থাকতাম তাহলে এই ভয়ঙ্কর অবস্থা আসতো না। আজকে পুলিশকে মোকাবিলা করতে হতো না। আজকে অভিযান কেন হচ্ছে, জনস্বার্থে এ অভিযান চালানো হচ্ছে একটা ভয়ঙ্কর অবস্থার অবসানের জন্য। তিনি বলেন, আমি দাবি করে বলতে পারি, বাংলাদেশের মানুষ এই অভিযানে খুশি, শুধু জনগন কেন এই অভিযানে খুশি এর জন্য তাদের গাত্র দাহ শুরু হয়েছে। বিএনপির এখানে গায়ের জ্বালা। এটা নিয়ে বিএনপি এত চিৎকার করতে কেন? তাদেরও বহু লোক জড়িত, তাদেরও ছাড় দেয়া হবে না, বলেও হুঁশিয়ারী দেন কাদের।
কানাডার আদালতে আবারও বিএনপির সন্ত্রাসী দলের ঘোষনা দেয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বার বার বলেছি বিএনপি একটা দুর্নীতিবাজ দল। তারা তাদের সংবিধান থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়ে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ এবং সন্ত্রাসী দল হিসেবে নিজেদেরকে তারা স্বীকার করে নিয়েছে। এটা আজকে শুধু দেশে নয় বিদেশেও আমাদের লজ্জা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, তাদের এক কর্মী কানাডার আদালতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে গিয়ে যখন বলেছে আমি বিএনপির কর্মী তখনই রায় দিয়েছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। এখন কানাডার সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করতে গিয়ে সে আপিলের চুড়ান্ত রায়ও এসেছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। এ ব্যপারে আর যাচাই-বাছাইয়ের অপেক্ষা রাখে না। বাংলাদেশে তারা স্বীকৃত দন্ডিত দল। স্বীকৃত তারা এখানে দুর্নীতিবাজ দল এবং বিদেশেও তারা প্রমানিত হচ্ছে দুর্নীতিবাজ দল হিসেবে।
বিআরটিএ ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেন, বৃহস্পতিবার অভিযানে মোট ১২১৭টি মামলা হয়েছে। মোট ৩১ লাখ ৫৪ হাজার আটশত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি জানান, দালাল হিসেবে ২৭জনকে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৫২টি জব্দ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।