Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গৌরীপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ: দায়সারা কাজে বরাদ্দ লুটপাটের পাঁয়তারা

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মান কাজের শুরুতেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্ষমতাসীন দলের ভেতরে-বাইরে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, প্রকল্পের সাইনবোর্ড না টানিয়ে তথ্য গোপন করে ভাংনামারী আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়েছে। অথচ প্রকল্পের নির্ধারিত ভূমি নিয়ে সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় প্রকল্পের স্থান সঠিক ভাবে নির্ধারণ না করেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্পে দায়সারা কাজ করে বরাদ্ধ লুটপাটের পাঁয়তারা কাম্য নয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো: বায়তুল্লাহ’র অভিযোগ, প্রকল্পের স্থান সঠিক ভাবে নির্ধারণ না করেই আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও আমার পৈত্রিক জমিতে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরপূর্বক আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট করা হচ্ছে। অথচ একই স্থানে প্রায় ৫০ একর সরকারী খাস খতিয়ানভূক্ত ভূমি রয়েছে। এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি।
ভুক্তভোগীর দাবি, প্রকল্প প্রোফাইলে উজান কাশিয়ার চর মৌজার ১৭২৮ ও ১৭২৯ দাগে স্থান নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে আমার পৈত্রিক মালিকানাধীন ১৬৭৯ দাগে মাটি ভরাট করা হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পে মাটি ভরাটে সরকারী বরাদ্ধ ৮৮ মেট্রিক টন চাল। যার বাজার মূল্য ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত প্রায় ছয় মাস আগে ২২মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করে ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিলেও এতদিন কাজ শুরু করা হয়নি। কিন্তু আগামী ৩০ জুন এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ। তাই বরাদ্ধ ফেরত যাওয়ার ভয়ে তড়িগড়ি করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজসে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা স্থান সঠিক ভাবে নির্ধারণ না করেই মাটি ভরাট কাজ শুরু করা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন ২২মেট্রিক টন চাল উত্তোলনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, স্থান নির্ধারন করেছে সার্ভেয়ার। এ বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবেন।
তবে সার্ভেয়ারা রফিকুল ইসলাম বলেন, আগের সার্ভেয়ার যে ভাবে প্রস্তাব পাঠিয়ে ছিল। আমি সে ভাবেই স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছি। বিষয়টি আগের সার্ভেয়ার ভাল বলতে পারবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা করিম বলেন, প্রকল্পের জমি নিয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে সার্ভেয়ার যে স্থান নির্ধারণ করে দিয়েছে আমি সেখানেই কাজ করছি। অভিযোগকারী আসলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ