পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাদক নিয়ন্ত্রণে সকল রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সরকারের কোনো ভালো কাজ বিএনপির ভালো লাগবে না এটাই স্বাভাবিক। যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা। বর্তমান সরকারের সময়ে মাদকবিরোধী অভিযান মানুষের প্রত্যাশিত দাবি করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে এটা জনগণের বহু প্রত্যাশিত অভিযান। আজকে সুনামির মতো ছড়িয়ে পড়ছে মাদক। তরুণ সমাজের একটা অংশকে ধ্বংস করে দিচ্ছে মাদক। তিনি বলেন, এ অবস্থায় এ ধরনের অভিযান শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই প্রশংসিত হচ্ছে। এটা সবার মুখে মুখে যে, সরকার জনগণের স্বার্থে এই বিষয়টিতে কঠোরভাবে অবস্থান নিয়েছে। এটা একটা সর্বনাশা ধ্বংসের পথ থেকে তরুণ সমাজকে ফিরিয়ে আনার একটি যুগান্তরকারী পদক্ষেপ।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে নোয়াখালী সমিতির এক ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ আহŸান জানান তিনি।
সরকারের সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশে মাদকবিরোধী যে অভিযান চলছে, তাতে দেশের মানুষ খুশি। মানুষ প্রশংসা করছে আর এটা বিএনপির ভালো লাগছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণে সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য গড়ে তোলার আহŸান জানিয়ে কাদের বলেন, বিএনপি আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার ছাড়া আর কি করছে? তারা এ পর্যন্ত মাদকের মতো, সন্ত্রাসের মতো, জঙ্গিবাদের মতো ঘটনা নিয়ে কখনো কোনো কথা বলেনি। মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এ দেশে কোনো রাজনীতিক দল কথা বলেনি। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এটা (মাদক) একটা সামাজিক সমস্যা। এর বিরুদ্ধে একটা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। এই বিষয়টায় অন্তত সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্য গড়ে তোলা দরকার।
মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘাত হতেই পারে মন্তব্য করে কাদের বলেন, মাদক ব্যবসা যারা করে তারা কিন্তু শক্তিশালী একটা চক্র। তাদের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হলে মুখোমুখি সংঘাত হতেই পারে।
ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত সহনীয় থাকবে
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসন্ন ঈদযাত্রা হয়তো ভোগান্তিমুক্ত হবে না, তবে তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। গতকাল মঙ্গলবার মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতু এলাকায় আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করা ও টোল প্লাজা ব্যবস্থাপনা নিয়ে স্টেক-হোল্ডারদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আসন্ন ঈদযাত্রা হয়তো ভোগান্তিমুক্ত হবে না তবে তা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। তিনি বলেন, আগামী ঈদে ভাঙা রাস্তার জন্য যাতে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি না হয় সে জন্য জুন মাসের ৮ তারিখের মধ্যে রাস্তা মেরামতের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দরকার হলে দিনের পাশাপাশি সারারাতও মেরামত কাজ চলবে।
এক্সেল লোড স্টেশনের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ঈদের সময় টোল সংক্রান্ত ভোগান্তি বা দুর্নীতির তথ্য পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ সময় সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূইয়া, নজরুল ইসলাম বাবু, নাসিম ওসমান, লিয়াকত আলী খোকাসহ নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
ঈদের আগের ও পরের চারদিন সিএনজি স্টেশন দিনরাত খোলা: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরের আগের চারদিন এবং পরের চারদিন সারাদেশের সিএনজি স্টেশনসমূহ দিনরাত খোলা থাকবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি।
গতকাল মঙ্গলবার মেঘনা সেতুর গজারিয়া প্রান্তে সেতুর নির্মাণ সাইটে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে আসন্ন ঈদযাত্রা নির্বিঘœ করতে সকল স্টেক-হোল্ডারদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা জানান। এসময় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সুবিদ আলী ভুঁইঞা, সেলিম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু ও লিয়াকত হোসেন খোকা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আগামী ৮ জুনের মধ্যে সারাদেশের চলমান জরুরি সড়ক মেরামতকাজ শেষ করতে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়া মহাসড়কে উল্টোপথে যে কোনো ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ঈদের সময় অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনাকবলিত যানবাহন দ্রæত সরিয়ে নিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ রেকার সংগ্রহে রাখারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের যাতায়াত নির্বিঘœ করতে সকল সরকারি সংস্থাকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। তিনি গাড়ি চালকদের অতিরিক্ত ট্রিপ না দিয়ে যাত্রাশেষে বিশ্রামের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পরিবহন মালিকদের প্রতি অনুরোধ জানান। যানবাহন চলাচল নির্বিঘœ করতে মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোল প্লাজার ব্যবস্থাপনা আরও দক্ষতার সাথে সম্পন্ন করা হবে বলে মন্ত্রী সভায় জানান।
সভায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, হাইওয়ে পুলিশ ও চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, বিকেএমইএ, বিজিএমইএ, পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য স্টেক-হোল্ডারগণ অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।