স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় প্রেস ক্লাবের আজীবন সদস্য, বিশিষ্ট কলামিস্ট ও সাংবাদিক এ বি এম মূসার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ (শনিবার)। এ উপলক্ষে আজ (শনিবার) বাদ আসর মরহুমের মোহাম্মদপুরের ৫/২ ইকবাল রোড সুবাস্তু রিমঝিম বাড়িতে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার মেয়ে পারভীন সুলতানা মূসা ঝুমা মরহুমের আত্মীয়-স্বজন, সতীর্থ ও শুভাকাক্সক্ষীদের উক্ত দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এ বি এম মূসা ১৯৩১ সালে ফেনী জেলার ধর্মপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দীর্ঘ ৬৪ বছর তিনি সংবাদপত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে গেছেন। ১৯৫০ সালে দৈনিক ইনসাফে যোগদানের মাধ্যমে তার সাংবাদিকতা জীবন শুরু। ওই বছর তিনি তৎকালীন দৈনিক পাকিস্তান অবজারভারে যোগ দেন। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের পর কর্তৃপক্ষ পাকিস্তান অবজারভার বন্ধ করে দিলে তিনি দৈনিক সংবাদে যোগ দেন। অবজারভার খুলে দেয়া হলে ১৯৫৪ সালে তিনি সেখানে আবার যোগ দেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান অবজারভারে রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার, বার্তা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় বিবিসি, সানডে টাইমস প্রভৃতি পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে তিনি রণাঙ্গন থেকে সংবাদ প্রেরণ করেন। স্বাধীনতার পর তিনি বিটিভির মহাব্যবস্থাপক, মর্নিং নিউজের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য ছিলেন।
১৯৭৮ সালে এ বি এম মূসা ব্যাংককে অবস্থিত জাতিসংঘের পরিবেশ কার্যক্রমের (এসকাপ) এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে যোগ দেন। দেশে ফিরে ১৯৮১ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত বংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মহাব্যবস্থাপক ও প্রধান সম্পাদক ছিলেন। ২০০৪ সালে তিনি কিছুদিন দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ বি এম মূসা জাতীয় প্রেস ক্লাবের চারবার সভাপতি এবং তিনবার নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ বি এম মূসা একুশে পদকসহ দেশী-বিদেশী নানা পুরস্কারে ভ‚ষিত হয়েছেন। তিনি জীবনের শেষ দিনগুলোতে একজন দর্শকপ্রিয় আলোচক এবং সংবাদ বিশ্লেষক হিসেবে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের এই দিনে এ বি এম মূসা বার্ধক্যজনিত কারণে ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুববরণ করেন।