মাদকের ভয়াবহ বিস্তার ও মাদকাসক্ত রোধে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর জিরো টলারেন্স পদক্ষেপের পাশাপাশি এটা সম্পূর্ণ নির্মূলে পীর মাশায়েখ, আলেম ওলামা, এবং সমাজ সেবা প্রতিষ্ঠান সমূহের দ্বায়িত্ব অধিক। ইসলাম ও দেশ রক্ষা পরিষদেরইসলাম ও দেশরক্ষা কমিটির আহবায়ক নাসিমুর রহমান রেজভী এবং সদস্য সচিব মাওলানা আমিরুল ইসলাম কাসেমী গতকাল এক বিবৃতিতে এই কথা বলেছেন। তারা বলেন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদক বিষয়ে মানুষের অপকর্মের দিকটি নিয়ন্ত্রনে কাজ করবে। কিন্তু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মাদকের বিস্তার ও মাদকাসক্ত নির্মূলের প্রচেষ্টা হবে স্থায়ী। তাই এ বিষয়ে সকল পর্যায়ের আলেম, ইমাম, খতীব এবং পীর মাশায়েখগণকে ধর্মীয় প্রতিটি আলোচনা ও মাহফিলে, দরবারী আলোচনায়, জুমুয়ার খুতবায় এবং পাঞ্জেগানা নামাযের শেষে মাদকের বিষয়ে ধর্মীয়ভাবে হারাম এর বিষয়টি এবং আখিরাতে এর ভয়াবহ পরিণতি ও শাস্তির বিষয় তুলে ধরে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান সহ শিক্ষকগণের দ্বায়িত্ব হচ্ছে মাদকের খারাপ দিকগুলি তুলে ধরে ধর্মীয়ভাবে মাদকাসক্তের উপর কঠোর ধর্মীয় বিধি নিষেধের বিষয়গুলো ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে তুলে ধরে তাদেরকে মাদককে “না” বলার পরিবেশ তৈরী করা জরুরী।
তাছাড়া সমাজনেতা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেও মাদকের বিরুদ্ধে লাগাতার বক্তব্য দিতে হবে। সামাজিক সংগঠনগুলিকে মাদক সংক্রান্ত আলোচনা পোস্টার লিফলেট বিতরণ সহ মাদকবিরোধী বক্তব্য ও কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। এছাড়া অভিযানকে রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে।
উল্লেখিত বিষয় নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। দেশের সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দিতে হবে যাতে সংশ্লিষ্টরা সেই মোতাবেক স্ব স্ব ভূমিকা রাখার তাগিদ অনুভব করেন।
সবশেষে প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং যেহেতু মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর উদ্যোগ নিয়েছেন তাই তাকে মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য উল্লেখিত বিষয়গুলোকে মনিটরিং করতে হবে।