Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

গুঁড়িয়ে দেয়া হবে হালদা পাড়ের অবৈধ স্থাপনা

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা সুরক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাঁড়াশি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান হাওলাদার। গতকাল (রোববার) হালদা নদী পরিদর্শনে এসে তিনি এ নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, নির্দয়ভাবে হালদা পাড়ের অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুড়িয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, হালদা নিয়ে সরকার অত্যন্ত সংবেদনশীল। এ নদীর দখল, জবর দখল, দূষণ এসব কোনোভাবে বরদাশত করা হবে না।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটি দখল-দূষণ থেকে হালদা রক্ষায় একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে ২৩টি সুপারিশ বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করছি। তবে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা চিত্রের চেয়েও হালদার দখল-দূষণের বাস্তব চিত্র আরও ভয়াবহ বলে মন্তব্য করেন নদী কমিশনের চেয়ারম্যান। ক্রমান্বয়ে নদী দখল বাড়ছে। স্লুইসগেট যেকটি আছে সেগুলো ঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে না। খন্দকিয়া খালের মাধ্যমে যেভাবে দূষিত পানি হালদায় ঢুকছে তা পোনা উৎপাদনকে ব্যাহত করছে। এসব থেকে উত্তরণের উপায় খুঁজতে হবে। দখলদাররা রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ দখলদাররা রাজনৈতিক পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। এখানেও যেটুকু দেখেছি তার ব্যত্যয় ঘটেনি। স্থানীয় প্রশাসন হালদাপাড়ের সব ইটভাটা বন্ধ করে দিলেও একটি ইটভাটা এখনো বন্ধ করতে পারেনি। কারণ ইটভাটার মালিক একটি রাজনৈতিক দলের পদস্থ ব্যক্তি। আমরা তাকে কমিশনের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাই, দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে তিনি ইটভাটা সরিয়ে নেবেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবেন।
এর আগে মদুনাঘাট দিয়ে স্পিডবোটে হালদা পরিদর্শন শুরু করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান। দক্ষিণ মাদার্শা, উত্তর মাদার্শা ঘুরে মোহরা, কালুরঘাটে গিয়ে পরিদর্শন শেষ করেন তিনি। হালদা রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণ কার্যক্রমও ঘুরে দেখেন তিনি। এ সময় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মোঃ আলাউদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মনজুরুল কিবরীয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেলোয়ার হোসেন, সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মেজর নুর জামান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী স্বপন কুমার বড়ুয়া, হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আখতারুন্নেছা শিউলী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার হালদা পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হালদা পাড়ের
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ