Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আদমদীঘিতে শ্রমিক সংকট ধান কাটামাড়াই ব্যাহত

আদমদীঘি (বগুড়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বৈইরী আবহাওয়া ও ঘন ঘন বৃষ্টিপাতে বগুড়ার আদমদীঘিতে চলতি মৌসুমের ইরি-বোরো ধানসহ শত শত একর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এতে এবার ইরি-বোরো ধানের ফলন বিপর্য়য় ঘটছে বলে জানাগেছে। এছারাও বাজারে বৃষ্টি ভেজা ও কাচাঁ ধানের মূল্য কমে যাওয়ায় কৃষকরা ধান বিক্রি করে লোকশানে পরছে। বর্তমানে প্রতি মন ধান ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ধানের চেয়ে খড়ের মূল্য অনেক বেশী। ফলে স্থানীয় কৃষক কৃষানীরা ধান শুকানোর পাশাপাশি খড় শুকানো নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে। বৈইরী আবহাওয়া প্রায় প্রতিদিনের ঝড় বৃষ্টি এবং সারদেশে বজ্যপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মূত্যুকে কেন্দ্র করে ধানকাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। এতে চলতি ইরি-বোরো ধান কাটা মাড়াই কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মাঠের পর মাঠ ভরা ধান নিয়ে বিপাকে পরেছে স্থানীয় কৃষকরা। বৈশাখ মাসের প্রথম থেকেই ঝড় শিলাবৃষ্টিসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে ইরি-বোরো ধান নিয়ে এলাকার কৃষকরা দুঃচিন্তায় পরে। স্থানীয় কৃষি আফিস সুত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে এবার প্রায় সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষ হয়েছে। গত কয়েক দিনের দুর্যোগপূর্ণ আবহায়ার ও ঘন ঘন ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারনে এবার ঝড়ে জমির ধান মাটিতে পরে যাওয়া ও নীচু জমিতে বৃষ্টির পানিতে ধান ডুবে যাওয়ায় কারনে এবার কাটা মাড়াইয়ের কাজ আগাম শুরু হয়েছে। এবার ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটেছে বলেন স্থানীয় কৃষকরা জানিছেন। উপজেলার কায়েত পাড়ার কৃষক ছাহের আলী ও শফির আলী জানান, এবার আগাম লাগানো ধানের ফলন ভালো হলেও ঝড়ে পরে যাওয়া ও পানিতে ডোবা ধানের ফলন খুব কম হচ্ছে। গত কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে উপজেলার রক্তদহ বিলে এবং বিলপারের আশপাশ নীচু এলকার মৌসুমীর প্রায় ৫০০ হেক্টর ইরি-বোরো আধাঁ পাকা ধান পানির নীচে তলিয়ে গাছে। এতে আদমদীঘি উপজেলার নীচু এলাকার কদমা, করজবাড়ি, গনিপুর, দমদমা, প্রসাদখালী, সান্দিড়া, ছাতনি, ঢেঁকড়া, ডাঙ্গাপাড়াসহ প্রায় ১৫/ ২০ গ্রামের কৃষকেরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাজারে ধানের দাম কমেগাছে। বর্তমানে ৬৫০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মন দামে ধান বিক্রি হচ্ছে। কৃষকদেরর পানিতে ডোবা বা পড়ে যাওয়া কাচা ধান কাটার পর শ্রমিকের মজুরি পর্যন্তউঠছেনা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পরেছে। গত রোপা আমন মৌসুমে বন্যায় ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এলাকায় খড়ের ঘার্তি এখনো পুরুন হয়নি। ফলে এখন ধানের চেয়ে খড়ের মুল্য বেশী। এজন্য এলাকার কৃষক কৃষানী ধানের পাশাপাশি খড় শুকানো নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে। এবার দুর্যোগপৃর্ণ আবহাওয়া ঝড়ে জমিতে ধান পরে যাওয়া ও জমিতে পানি জুমে থাকা, বৈইরী আবহাওয়া প্রায় প্রতিদিনের ঝড় বৃষ্টি এবং সারদেশে বজ্যপাতে ধানকাটা শ্রমিকের মূত্যুকে কেন্দ্র করে ধানকাটা শ্রমিকের ব্যাপক সংকট দেখা দেওয়ায় কাট মাড়াইয়ের কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ফলে এলকাকার কৃষকরা তাদের মাঠের ধান নিয়ে দুঃচিন্তায় পরেছে। এছাড়াও পিয়াজ মরিচ লালসাগ ঢেরোষ কলমিসাগসহ সবজি চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তিনি বলেন ধান ও সাকসবজির ক্ষতি হয়েছে। যে বৃষ্টি হয়েছে এর চেয়ে আরোও বেশী হলে ক্ষতির পরিমান ব্যাপক আকার ধারন করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শ্রমিক সংকট
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ