Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভিজ্ঞতায় পার্থক্য দেখছেন সাব্বির

| প্রকাশের সময় : ২০ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : অল্প সময়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার। সল্প এই সময়ে যতটা না আলো ছড়িয়ে সবার নজরে এসেছেন তার চেয়েও বেশি সমালোচিত হয়েছেন মাঠে ও মাঠের বাইরে বিতর্কিত সব কান্ড ঘটিয়ে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বর্তমান নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছেন সাব্বির রহমান। ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছে সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ। সাব্বিরও ঘিরে ধরা বিতর্ক থেকেও বেরিয়ে আসছেন ধীরে ধীরে। আসন্ন আফগানিস্তান সিরিজ দিয়েই নতুন করে শুরু করতে চাইছেন স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান।
নিজেকে নতুন করে চেনাতে সাব্বিরকে আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল। প্রেমাদাসায় ভারতের বিপক্ষে করেছিলেন ৫০ বলে ৭৭ রান। দল হেরে যাওয়ায় ইনিংসটা বৃথা গেলেও তাঁর কাছে এটি আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি হিসেবে কাজ করছে, ‘এটা আমাকে আত্মবিশ্বাসী করেছে। নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচটা যেভাবে খেলেছি, আগের ম্যাচগুলোয় নিজেকে ওইভাবে চেনাতে পারিনি। ফাইনালে যেভাবে চেয়েছি সেভাবে চেনাতে পেরেছি। সামনে এটা আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’
টানা ব্যর্থতায় মাঝে দলে থাকাটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল। নিদাহাস ট্রফির বেশির ভাগ ম্যাচেই সাব্বিরের জায়গা পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু নির্বাচকরা তার উপর থেকে আস্থা হারাতে চাননি। অবশেষে আস্থার প্রতিদান দিলেও মাঝে কেন ছন্দ হারিয়ে ফেলেছিলেন, সেটির উত্তর কি ঠিকঠাক পেয়েছেন? নিজের উপলব্ধি গতকাল সংবাদমাধ্যমকে বললেন সাব্বির, ‘আত্মবিশ্বাস বড় জিনিস। রান করলে সব টেকনিক ঠিক থাকে। কোনো দোষই তখন আর দোষ থাকে না! সব কাজই ঠিক থাকে। রান না করলে ভালো শট খেলে আউট হলেও তখন প্রশ্ন ওঠে, টেকনিক খারাপ! হ্যাঁ, টেকনিকে সমস্যা থাকতে পারে, টেম্পারামেন্ট সমস্যা থাকতে পারে। আমার কাছে মনে হয় রান করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
আফগানিস্তান দলের বোলিং বিভাগ শক্তিশালী হলেও ব্যাটসম্যান সাব্বির নিজেদের পিছিয়ে রাখতে মোটেও রাজি নন। অভিজ্ঞতার বিচারেই তিনি এগিয়ে রাখতে চান নিজেদের, ‘অবশ্যই অভিজ্ঞতায় আমরা এগিয়ে থাকব। আফগানিস্তানের হয়তো তিন-চারজন বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। আমাদের অনেক ভালো ভালো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে যারা আইপিএলেও খেলে। আশা করছি অভিজ্ঞতা দিয়ে ম্যাচ জিততে পারব।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে না খেললেও সাব্বির ব্যক্তিগত উদ্যোগেই নিজের ভুল-ত্রুটিগুলো নিয়ে কাজ করেছেন গত দুই মাস। আফগানিস্তান সিরিজ তাঁর লক্ষ্য একটাই, যে বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করেছেন সেগুলো মাঠে করে দেখাতে। রশিদ খান-মুজিবুর রহমানকে নিয়ে যে এত কথা হচ্ছে, তাঁদের খেলতে কী করণীয় সেটিও অজানা নয় সাব্বিরের, ‘টি-টোয়েন্টি ১২০ বলের খেলা। প্রথম কয়েক ওভারে একরকম পরিস্থিতি যাবে। শেষ ছয় ওভার আরেক রকম। ইনিংসের মাঝে থাকে আরেক পরিস্থিতি। আমরা যারা মাঝের ওভারগুলো খেলব বল-টু-বল যদি রান করতে পারি, অন্তত ৪২ বলে যদি ৬০-৭০ রান করতে পারি তাহলে হয়তো আমাদের স্কোর ভালো হবে। উইকেট ছুড়ে না দিয়ে এসে বল অনুযায়ী খেললে বড় স্কোর করতে পারব।’
আফগান সিরিজের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতির পথে আরো এক ধাপ এগুনোর পথে বাংলাদেশ। প্রাথমিক দল থেকে আজ ঘোষণা করা হবে চূড়ান্ত দল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ