বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ১ জন নিহত আহত হয়েছেন অনন্ত: ১৫ জন। এদের মধ্যে উভয়পক্ষের আহত ৬ জনের অবস্থা গুরুতর বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার ইফতারের প্রাক্কলে পাবনা সদর উপজেলার চর ঘোষপুর গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে একজন নিহত ও অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ১২ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত রফিকুল ইসলাম (৪৫) চর ঘোষপুর গ্রামের আজাহার আলী মন্ডলের পুত্র।
পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চর ঘোষপুর গ্রামের তারেক ও আতিয়ার গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে দুই পক্ষ লাঠি-সোটা ও আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। প্রায় ৩০ মিনিট ধরে চলা সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ১৫ জন আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত ১২ জনকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়া ১১ জনকে ভর্তি করা হয়। হতাহত সবাই তারেক গ্রুপের সমর্থক। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার কওে প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করার পর ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
আহতরা হলেন: ইকবাল হোসেন (২৬), বিল্লাল হোসেন (৪০), ওয়াসিম হোসেন (২০), নজু প্রামানিক (৪০), ফারুক হোসেন (২৫), রত্না খাতুন (৩০), হাশেম আলী (৩০), পলাশ হোসেন (২২), আমিন উদ্দিন (২৪), জালাল উদ্দিন (৪০) ও রফিক হোসেন (১৭)।
উল্লেখ্য, পাবনায় বিচ্ছন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে হত্যা-খুন, মারামারি বৃদ্ধি পেয়েছে। পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশকে যথাসাধ্য চেষ্টা করার এবং হত্যার মোটিভ উদঘাটন ও জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচার আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।