বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের নো-ম্যানস ল্যান্ডে অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের সরে যেতে আবারও মাইকিং শুরু করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। আজ শনিবার সকাল থেকে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে সেনা সদস্যদের পাহারার মধ্যে কয়েক দফা মাইকিং করা হয়। মাইকিংয়ে রোহিঙ্গাদের সীমান্ত থেকে সরে অন্য জায়গায় আশ্রয় নিতে বলছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি।
তুমব্রু খালের পাহাড়ি ঢল থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা নো-ম্যানস ল্যান্ডে নতুন করে ঘর তৈরি করেছিলেন। কিন্তু নতুন করে মাইকিংয়ের ফলে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে চলে আসতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে সেখানে অবস্থানকারী প্রায় পাঁচ হাজার রোহিঙ্গা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
নো ম্যান্স ল্যান্ডের রোহিঙ্গা সাইফুল ইসলাম জানান, হঠাৎ করে শনিবার সকাল থেকে তুমব্রু সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার। বারবার তারা মাইকিং করে নো ম্যান্স ল্যান্ডে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে চলে যেতে বলছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান জানান, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে মাইকিং করা হলেও বিজিবি সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
গত আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সহিংসতার জের ধরে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয় নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুনধুম তুমব্রু সীমান্তে। পরে তাদের কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে সরিয়ে নেওয়া হলেও তুমব্রু সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে বসবাসকারী ৫ হাজারেও বেশি রোহিঙ্গাদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। নো-ম্যানস ল্যান্ড স্পর্শকাতর এলাকা হওয়ায় বর্তমানে এসব রোহিঙ্গা মানবেতর জীবনযাপন করছে।