নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : করিম বেনজামা, অ্যান্থনি মার্শিয়াল, আদ্রিয়ান রাবিওত, আলেকজান্দার লাকাজেতৃ ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলে সব সমীহ জাগানোর মতো নাম। তবে তাদের সবার মধ্যে একটা মিল আছে, কারোরই জায়গা হয়নি রাশিয়াগামী ফ্রান্স দলে। চমকে ভরা দলে তরুণদের ওপর আস্থা রেখেছেন ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম।
বেনজামা অবশ্য অনেক দিন ধরেই সুনজরে নেই কোচের। ২০১৬ ইউরোর পর থেকে সেভাবে সুযোগ পাননি জাতীয় দলে। তবে মার্শিয়াল খেসারত দিয়েছেন এই মৌসুমে ক্লাব দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একাদশে জায়গা হারিয়ে ফেলায়। পিএসজি মিডফিল্ডার রাবিওট জাতীয় দলের হয়ে খেললেও এবার আর তাকে রাখেননি কোচ। জায়গা হয়নি আর্সেনাল স্ট্রাইকার লাকাজেতের। চোটের জন্য বাদ পড়েছেন মার্শেই মিডফিল্ডার দিমিত্রি পায়েত ও আর্সেনাল ডিফেন্ডার লরেন্ত কসিয়েলনির। অন্যদিকে লিওর তরুণ ফরোয়ার্ড নাবিল ফেকির ও মার্শেইয়ের ফ্লোরিয়ান থাউভিন আছেন দলে। জায়গা পেয়েছেন বার্সেলোনার তরুণ ফরোয়ার্ড উসমান দেম্বেলেও। আগামী ১৬ জুন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করবে ফ্রান্স। ‘সি’ গ্রæপে ১৯৯৮ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ পেরু ও ডেনমার্ক।
ফ্রান্স যেখানে দেখিয়েছে তারুন্যের চমক, ঠিক তার উল্টো পথে হেঁটেছে পর্তুগাল। দুই বছর আগে তার সেই গোল পর্তুগালকে এনে দিয়েছিল ইউরো। রাতারাতাতি নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন এডের, চলে এসেছিলেন পাদপ্রদীপের আলোয়। তবে এরপর হারিয়ে গেছেন বিস্মৃতিতে, জায়গা হয়নি রাশিয়া বিশ্বকাপের পর্তুগালের চূড়ান্ত দলে। যেমন হয়নি দুই বছর আগের ওই ইউরো জয়ী দলের আরও নয়জনের। বার্সা মিডফিল্ডার আন্দ্রে গোমেজ, সাবেক ইউনাইটেড উইঙ্গার নানিও আছেন এদের মধ্যে।
ফার্নান্দো সান্তোস রাখেননি আরও কিছু বড় মুখকে। বার্সার হয়ে এই মৌসুমে নিয়মিত রাইটব্যাক নেলসন সেমেদোও নেই। উলভারহ্যাম্পটনকে প্রিমিয়ার লিগে নিয়ে যাওয়ার অন্যতম নায়ক রুবেন নেভেসও ২৩ জনের দলে উপেক্ষিত থেকে গেছেন। জায়গা হয়নি ইউরোতে চমকে দেওয়া তরুণ মিডফিল্ডার রেনাটো সানচেসের, এখন ধারে আছেন সোয়ানসিতে। অবধারিতভাবে অধিনায়ক থাকছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোই। আক্রমণে তার সঙ্গী হতে পারেন আন্দ্রে সিলভা।
দল ঘোষণার সময় কাজটা যে কঠিন ছিল, সেটা স্বীকার করেছেন সান্তোস, ‘২৩ জনকে বেছে নেওয়া খুব কঠিন ছিল। পেশাদার হিসেবে, আমাকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে এবং আমি জানি সবাই সন্তুষ্ট হয়নি। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে ইউরোতে যারা খেলেছিল, তাদের কয়েকজনকে দলে নিতে না পারা আমাকে কষ্ট দিচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অনেকেই খেলেছে, যাদের আমি বিশ্বকাপ দলে নিতে পারিনি। সেটাও কষ্টের। এডের, নানি এবং অন্যরা যারা পর্তুগিজ ফুটবল ইতিহাসে চমৎকার একটি অধ্যায় যোগ করেছে, তাদের বাদ দেওয়া কঠিন। কিন্তু আমি এমন ফুটবলারদেরই বেছে নিয়েছি, যাদের দিয়ে আমি আমার ধাঁধাটা মেলাতে পারব।’
দলে ডাক পাওয়া খেলোয়াড়দের মধ্যে চমক বলতে একজনই। রাশিয়ান লিগে খেলা ৩২ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল ফার্নান্দেজ। সান্তোসের দাবি, এটাই তার সেরা দল, ‘আমি বলতে পারব না ইউরোতে খেলা দলের চেয়ে এটা শক্তিশালী কি না। তবে ওই দলের মতোই এ দলের ওপরও আমার পূর্ণ আস্থা আছে।’
এছাড়া, একই দিন জুভেন্টাস ডিফেন্ডার মেদি বেনাতিয়ার হাতে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব দিয়ে ২৩ সদস্যের চ’ড়ান্ত দল ঘোষনা করেছে মরক্কো। গেলপরশু ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে মরক্কো জাতীয় দলের কোচ হার্বে রেনার্ড। জুভেন্টাসকে দুইবার ইতালিয় লিগ কাপের শিরোপা পাইয়ে দেয়া এই ডিফেন্ডার ছাড়াও দলে রয়েছেন ইউরোপের ফুটবলে খেলা ১৮ খেলোয়াড়। রাশিয়া বিশ্বকাপে বি’ গ্রæপে মরক্কোর প্রতিদ্ব›দ্বী দলগুলো হচ্ছে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন স্পেন, পর্তুগাল ও ইরান। ১৯৯৮ সালের পর এবরাই প্রথম বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে মরোক্কো।
ফ্রান্স স্কোয়াড
গোলরক্ষক : উগো লরিস, আলফনসো আরিওলা, স্টিভ মাদাদা।
ডিফেন্ডার : জিব্রিল সিবিদে, বেঞ্জামিন পাভার্দ, বেঞ্জামিন মেন্ডি, লুকাস হার্নান্দেজ, প্রেসনেল কিমপেম্বে, স্যামুয়েল উমতিতি, রাফায়েল ভারানে, আদিল রামি।
মিডফিল্ডার : এনগোলো কন্তে, পল পগবা, কোরেন্টিন তোলিসো, বেøইস মাতুইদি, স্টিভেন এনজঞ্জি।
ফরোয়ার্ড : আঁতোয়ান গ্রিজমান, অলিভিয়ের জিরুদ, কিলিয়ান এম্বাপে, নাবিল ফেকির, উসমান দেম্বেলে, থমাস লেমার, ফ্লোরিয়ান থাউভিন।
পর্তুগাল স্কোয়াড
গোলরক্ষক : অ্যান্থনি লোপেজ, বেতো, রুই প্যাট্রিসিও
ডিফেন্ডার : ব্রæনো আলভেজ, সেড্রিক সোয়ারেস, জোসে ফন্তে, মারিও রুই, পেপে, রাফায়েল গুরেইরো, রিকার্ডো পেরেইরা, রুবেন ডিয়াজ
মিডফিল্ডার : আদ্রিয়েন সিলভা, ব্রæনো ফার্নান্দেজ, জোয়াও মারিও, জোয়াও মুতিনহো, ম্যানুয়েল ফার্নান্দেজ, উইলিয়াম কারভালহো
ফরোয়ার্ড : আন্দ্রে সিলভা, বার্নান্ডো সিলভা, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, গেলসন মার্টিন্স, গন্সালো গেদেস, রিকার্ডো কারেসমা।
মরক্কো স্কোয়াড
গোলরক্ষক : মুনির এল কাজুই, ইয়াসিনে বৌনৌ, আহমেদরেদা তাগনাউতি।
ডিফেন্ডার : মেদি বেনাতিয়া, রোমেইন সাইস, ম্যানুয়েল দা কস্তা, বাদও বেনউন, নাবিল দিরার, আচরাফ হাকিমি, হামজা মেন্ডিল।
মিডফিল্ডার : এম’বারেক বৌসৌফা, করিম এল আহমাদি, ইউসেফ আইত বেনাসের, সোফিয়ান আমরাবাত, ইুএনস বেলহান্ডা, ফয়সাল ফজর, আমিন হারিত, নরডিন আমরাবাত।
ফরোয়ার্ড : খালিদ বুয়াতাইব, আজিজ বুহাদ্দজ, আইউব এল কাবি, মেহদি চার্চেলা, হাকিম জিয়েচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।