Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমার সরকার নীরব থাকলেও আক্রমণে রয়েছে সেনাবাহিনী

| প্রকাশের সময় : ১৯ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


ইনকিলাব ডেস্ক : সাম্প্রতিক কালে সংঘর্ষের ঘটনায় মিয়ানমার সরকার নীরব থাকলেও কিন্তু আক্রমণে রয়েছে সেনাবাহিনী। কারণ, দেশটির কোন না কোন এলাকায় সশস্ত্র সংঘর্ষ সংঘটিত হচ্ছে। গত এপ্রিলে বর্মি বাহিনী এবং মিয়ানমারের সর্বউত্তরের বেশির ভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী বিদ্রোহী গ্রæপ কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক জঙ্গলে পালিয়ে যায়। অনেকে কয়েক সপ্তাহ দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে কাচিন রাজ্যের রাজধানী মিতকিয়ানায় পৌঁছে। তারা সেখানে স্থানীয় চার্চে আশ্রয় গ্রহণ করে। আরো অনেক পাহাড়ে পাহাড়ে আটকা পড়ে আছে। রেডক্রসের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় সাত হাজার বেসামরিক নাগরিক তাদের বাড়িঘর থেকে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এছাড়া আরো আগে আরো এক লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। মিয়ানমারের এই অংশে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। ২০১১ সালে বর্মি সেনাবাহিনী ও কেআইএ’র মধ্যকার যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ার পর থেকে কাচিন রাজ্যে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। স্বায়াত্তশাসনের দাবিতে আরো কয়েকটি জাতিগত গ্রæপ কয়েক দশক ধরে বর্মি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে। কয়েকটি গ্রæপ ২০১৫ সালে যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও অন্তত ১০ হাজার যোদ্ধা-সংবলিত কেআইএ তাতে রাজি হচ্ছে না। এবারের সহিংসতা কেন ছড়িয়ে পড়ল তার কারণ জানা করা যায়নি। তবে জেনারেলরা বরাবরের মতো বিদ্রোহীদেরই দায়ী করে যাচ্ছে। কিন্তু শুষ্ক মওসুমে সেনাবাহিনী যে নিয়মিতভাবে বিদ্রোহীদের আস্তানাগুলোতে হামলা চালায়, তাও সত্য। এবার যে অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে সেই তানাই এলাকাটি স্বর্ণ ও আম্বর খনির জন্য বিখ্যাত। কেআইএর আয়ের অন্যতম উৎসও এ দুটি। গত জুনেও সরকারি বাহিনী এখানে আক্রমণ করেছিল। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ