Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দুর্ভোগ নিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে রোজা শুরু

| প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম


বরিশাল ব্যুরো : অতীতের ধারাবাহিকতায় নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়েই দক্ষিণাঞ্চলে মাহে রমজান শুরু হল। তবে এবার এখনো চিনি, ভোজ্যতেল ও ছোলাবুটের দাম নতুন করে বাড়েনি। এসব পণ্যের দর এবার কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও পেয়াজ সহ কাঁচা বাজারে ইতোমধ্যে আগুন লেগেছে। রোজাকে পুঁজি করেই বেগুন, শশা ও টমেটো সহ অনেক সবজির দামও আকষ্মিকভাবেই আকাশ ছোঁয়া। মুরগী আর মাছের বাজারেও বিরূপ প্রভাব পড়েছে। গরু-খাসির গোশত’র দামও একই সূত্রে বাড়ছে। ফলে এবারো রমজান মাসে দক্ষিণাঞ্চলের রোজাদার সহ সাধারন মানুষকে যথেষ্ট কষ্ট পেতেই হচ্ছে।
গত দিন পনের যাবত বেগুন, শশা ও টমেটোসহ কয়েকটি সবজির দাম ধীরে ধীরে বাড়ছিল। কিন্তু গতকাল বরিশালের খুচরা বাজারে আকষ্মিকভাবেই এসব পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুন বেড়ে যায়। গতকাল প্রতি কেজি বেগুন ৮০-৯০ টাকা, শশা ৭৫-৮০ টাকা এবং টমেটো ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। একইভাবে অন্যান্য সবজির দামও প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। রোজাকে পুঁজি করে পেয়াজের ঝাঁঝও গত দিন পনের যাবত বাড়ছিল। গতকাল বরিশালের পাইকারি বাজারে দেশী পেয়াজ ৩৮-৪০ টাকা এবং আমদানীকৃত পেয়াজ ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে তা প্রতি কেজিতে আরো ৫-৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। পেয়াজের রেশ ধরে রসুন ও আদার দামও গত দশ দিনে প্রতি কেজিতে ১৫-২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আমদানীকৃত রসুন পাইকারীতে ৮৫ টাকা হলেও খুচরা পর্যায়ে তা ৯৫ থেকে ১শ’ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আদা’র কিছুটা সংকট ধরে পাইকারী পর্যায়ে গতকাল ৯৫-১শ’ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরা পর্যায়ে তা ১১০ থেকে ১২০ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে। গোল আলুর দামও গত পনের দিনে প্রতি কেজিতে ২-৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে পাইকারী পর্যায়ে গতকাল ১৬-১৭ টাকা এবং খুচরা প্রায় ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
রোজার শুরুতেই এসব অত্যাবশ্যকীয় নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন দক্ষিণাঞ্চলের সাধারন গৃহস্থ্যের মানুষ। এতে করে বেশীরভাগ চাকুরিজীবী ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূর্ভোগ আরো একধাপ বাড়ল। নির্ধারিত আয়ের মানুষের দূর্ভোগ সবচেয়ে বেশী।
তবে এবার ছোলা বুট ৭০ টাকা, চিনি ৫৫-৬০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১শ’ টাকা লিটারে বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের প্রায় সম পর্যায়ে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে খানিকটা কম বলেও জানিয়েছেন ব্যবসায়ীগন।
খোলা বাজারে এসব পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ ও সরবরাহের ফলে এবার রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য সংস্থা-টিসিবি দক্ষিনাঞ্চলে তার মজুদকৃত পণ্য নিয়ে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে। খোলাবাজারের সাথে টিসিবি’র পণ্যমূল্যে খুব একটা তফাত না থাকা সহ ছোলা বুট ও খেজুরের গুনগত মান নিয়ে প্রশ্ন থাকায় বেশীরভাগ ডিলারই অনীহা প্রকাশ করছে। ফলে বরিশালে টিসিবি তার পণ্য নিয়ে কিছুটা বেকয়াদায়ই পড়েছে বলে মনে হচ্ছে। টিসিবি প্রতি কেজি ছোলা বুট ৭০ টাকা, খোলা রিফাইন্ড চিনি ৫৫ টাকা আর খেজুর ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। তবে চিনি নিয়ে গ্রাহকদের কোন অভিযোগ না থাকলেও খেজুর যথেষ্ট পুরনো এবং খোলা বাজারে একই দামের ছোলাবুট-এর তুলনায় টিসিবি’র পণ্য কিছুটা খারাপ বলে গ্রাহকদের অভিযোগ।
এদিকে রোজাকে পুঁজি করেই সব ধরনের মাছের দামও প্রতি কেজিতে গত তিন দিনে ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকারও বেশী বেড়েছে। দেশী মুরগীর বাজারও যথেষ্ট চড়া। কক, সোনালী এবং ব্রয়লার মুরগীর দামও প্রতি কেজিতে ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গরুর গোশতের দামও ২০ টাকা বেড়ে আবার ৫শ’ টাকা ছুঁয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ