Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিনিয়র দল ডাকছে যুবাদের

অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যম্পিয়নদের সংবর্ধনা দিলো আবাহনী

| প্রকাশের সময় : ১৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : সদ্য সমাপ্ত অনুর্ধ্ব-১৮ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জয়ী নিজ দলের খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দিলো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গতকাল দুপুরে রাজধানীর একটি অভিজাত চাইনিজ রেস্তোরায় এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর যুবাদের অর্থ পুরষ্কার দিলেন ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত ডাইরেক্টর ইনচার্জ কাজী নাবিল আহমেদ, এমপি।
আবাহনীর যুব ফুটবলারদের এই উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী, গোলরক্ষক কোচ আতিকুর রহমান ও ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু সহ অন্য কর্মকর্তারা। তাই কাল আবাহনী যুব দলকে সংবর্ধনা দেয়ার ক্ষণটি যেন বাধাভাঙা আনন্দে রূপ নেয়। সঙ্গে দীর্ঘদিন পর বাড়ি ফেরার মধুর অপেক্ষাতো রয়েছেই। সেই আনন্দ শুধু ছোটদের হৃদয়কেই আন্দোলিত করেনি ছুঁয়ে গেছে লিগ চ্যাম্পিয়ন দলের রায়হান, সাদ, রুবেল, সোহেলদের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দেরও। সংবর্ধনা শেষে ছোটদের সঙ্গে বড়রাও বাড়ী ফেরার ছুটি পেয়েছেন।
চাইনিজ রেস্তোরায় যুবাদের সঙ্গে দুপুরে খেলেন কাজী নাবিল আমেদ। চ্যাম্পিয়ন দলকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থ পুরস্কারও দিলেন তিনি। সেই সঙ্গে ফুল দিয়ে যুবাদের বরণ করে নিলেন। কেক কেটে চ্যাম্পিয়নশিপ উদযাপন করলেন। ভবিষ্যতে ছেলেরা যাতে আরো ভালো খেলতে পারে, আরো উচ্চপর্যায়ে যেতে পারে সেজন্য শুভকামনাও জানালেন। চ্যাম্পিয়ন আবাহনী যুব দলকে আপাতত বিদায় বলে দিলেও এখান থেকেই ৫/৬ জনকে সিনিয়র দলে অন্তর্ভূক্ত করা হবে বলে জানান কাজী নাবিল। তিনি বলেন, ‘যুব দল থেকে ৫/৬ জনকে মূল দলের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। বাকিদের আমাদের ক্লাব কিংবা অন্য কোনো ক্লাবে দেয়ার চেষ্টা করব।’
অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট সফলভাবে শেষ করতে পেরে দারুণ খুশি কাজী নাবিল। এই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে জাতীয় দল কিংবা ক্লাব ফুটবলে পাইপ লাইন শক্তিশালী হবে বলে মনে করেন তিনি। তার কথায়, ‘আমাদের ডেভেলমেন্ট প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে অনূর্ধ্ব-১৪, অনূর্ধ্ব-১৫, অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে খেলা ছিল বলেই কিন্তু আজ বিভিন্ন ক্লাবে নবীন খেলোয়াড়রা যুক্ত হতে পারছে। আমার জানা মতে অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট খেলেছে এমন খেলোয়াড় ইতিমধ্যে ৫ থেকে ৬ জনে করে পেশাদার লিগে খেলার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে। তার মানে ১২টা ক্লাবে ৫০-৬০ জন খেলোয়াড় যুক্ত হয়ে যাবে সিনিয়র দলে। এদের মধ্যে অনেকে আবার পেশাদার লিগ, অনেকে চ্যাম্পিয়নশিপেও খেলবে। এই ছেলেগুলোকে এখন বড়দের সঙ্গে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কারণ বয়সভিত্তিকে খেলার কিন্তু তাদের আর সুযোগ নেই।’
অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা অর্থ পুরষ্কার পাওয়ার কথা রয়েছে আবাহনীর। কিন্তু সেই অর্থ এখনো হাতে পায়নি তারা। তাই কাজী নাবিল নিজেই পাঁচ লাখ টাকা বোনাস দিয়ে যুবাদের আপাতত বিদায় জানালেন। বাফুফের কাছ থেকে যে টাকা পাওয়া যাবে তাও নাকি এই ছেলেদের দিয়ে দেয়া হবে- এমন তথ্য জানা গেল ক্লাব সূত্রে।
যুবাদের উৎসবের দিন দীর্ঘ মৌসুম শেষে অবশেষে ছুটি পেয়েছেন আবাহনীর সিনিয়র খেলোয়াড়রাও। আপাতত ক্লাব থেকে ১০ দিনের ছুটি পেয়েছেন তারা। এর মধ্যে জাতীয় দলে যারা সুযোগ পাবেন তারা ক্যাম্পে যোগ দেবেন। বাকিরা আগামী মৌসুমের টাকা নিয়ে যে যার বাড়িতে চলে যাবেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ