Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকার গাউছুল আজম ও কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে দুর্ধর্ষ চুরি

দুই ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা

| প্রকাশের সময় : ১৫ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী মহাখালী গাউছুল আজম মসজিদে গত ৫ ও ৬ মে রাতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী চোর মসজিদের হ্যাজবল ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দুটি দানবাক্সের তালা কেটে আনুমানিক ৮ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। ঘটনার পর বনানী থানায় মামলা হয়েছে। অন্যদিকে, গত শনিবার রাতে কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সের তালা কেটে একইভাবে টাকা চুরির চেষ্টা হয়েছে। এখানেও চোর ছিল একজন এবং কালো মুখোশধারী। মহাখালী গাউছুল আজম মসজিদের ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ৫ মে রাত আনুমানিক ১১টা ১০ মিনিটে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সের মহিলা মসজিদের পশ্চিম দিকের দরজার হ্যাজবল ভেঙ্গে প্রবেশ করে অজ্ঞাতনামা কালো মুখোশধারী চোর দান বাক্সের তালা কেটে টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। পরদিন ৬ মে রাত আনুমানিক ২ টা ২৫ মিনিটে পুরুষ মসজিদের দক্ষিণ পাশের জানালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে দান বাক্সের তালা কেটে এক মুখোশধারী চোর টাকা চুরি করে একটি ব্যাটারীচালিত রিকশায় করে পশ্চিম দিকে চলে যায়।
অন্যদিকে, গত শনিবার গভীর রাতে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদের দানবাক্সে তালা কেটে টাকা বস্তাভর্তি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় নৈশপ্রহরীরা টের পেয়ে যায়। টাকা নিয়ে পালানোর সময় নৈশপ্রহরীদের বাধায় টাকাভর্তি বস্তা ফেলে এক মুখোশধারী চোর পালিয়ে যায়। কিশোরগঞ্জ সদর থানার এসআই ইমরান হাসান জানান, মসজিদের মালখানার গ্রিল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ওই চোর। পরে সেখানে রাখা সিন্দুকের তালা ভেঙে টাকা বস্তাভর্তি করে পালানোর সময় নৈশপ্রহরী শরীফ ও মকবুল টের পেয়ে তাকে ধাওয়া করে। এ সময় চোর তার হাতে থাকা রড দিয়ে শরীফের মাথায় আঘাত করে পালাতে থাকে। কিন্তু মকবুল ধাওয়া অব্যাহত রাখলে এক পর্যায়ে টাকার বস্তা, রড ও গ্রিল কাটার যন্ত্রপাতি ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। গত রোববার সকালে কিশোরগঞ্জ কালেক্টরেটের সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু তাহের মোহাম্মদ সাঈদের তত্ত¡াবধানে ও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদ কমিটির সদস্য ও কর্মচারীরা টাকা গণণা করেন। গণনা করে ৮ লাখ ৪ হাজার ৯৮১ টাকা পাওয়া গেছে। পরে তা রূপালী ব্যাংকে মসজিদের অ্যাকাউন্টে জমা করা হয়েছে।
মহাখালী গাউছুল আজম মসজিদে চুরির পর মুখোশধারী চোর দান বাক্স কাটার জন্য উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কাটার ও লোহার রড ব্যবহার করে। কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে চুরির সময়ও একই রকম কাটার ও রড ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া দুই ঘটনায় চোর ছিল একজন এবং কালো মুখোশধারী। সে ক্ষেত্রে পুলিশের ধারনা, দুই ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। বনানী থানার ওসি বিএম ফরমান আলী কিশোরগঞ্জের চুরির ঘটনা শুনে বলেন, আমার ধারনা দুটি ঘটনা একই ব্যক্তি ঘটিয়ে থাকতে পারে। ঢাকার বিখ্যাত গাউছুল আজম মসজিদে চুরি করে একই চোর কিশোরগঞ্জের বিখ্যাত পাগলা মসজিদে একই কায়দায় চুরি করেছে। তিনি বলেন, কিশোরগঞ্জে যোগাযোগ করে আমাদের সংগৃহিত ভিডিও ফুটেজের সাথে তাদের সংগৃহিত ভিডিও ফুটেজ মিলিয়ে দেখা হবে। আমরা এ ব্যাপারে শিগগিরি যোগাযোগ করবো। এর আগে তিনি বলেন, ভিডিও ফুটেজ দেখে মুখোশধারী চোরকে চিহ্নিত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। মসজিদের টাকা চুরি করে কেউ পার পাবে- তা আমি বিশ্বাস করি না।



 

Show all comments
  • ইয়াকুব ১৫ মে, ২০১৮, ৩:৩৯ এএম says : 0
    অপরাধীদের দ্রুত খুঁজে বের করা হোক
    Total Reply(0) Reply
  • নাঈম ১৫ মে, ২০১৮, ৩:৩৯ এএম says : 0
    দেশে কি শুরু হলো ?
    Total Reply(0) Reply
  • Riya islam ১৫ মে, ২০১৮, ৭:২৬ এএম says : 0
    মসজিদের টাকা চুরি করে কেহই রেহাই পাবেনা। এটাই আমার বিশ্বাস। (ইনশাআল্লাহ)
    Total Reply(0) Reply
  • হাঃহাঃমাওঃতাকী ইবরাহীম ১৫ মে, ২০১৮, ৯:০৫ এএম says : 0
    মসজিদের টাকা যারা চুরি করেছে, তারা কেউ যেনো ছাড় না পায়, তাদের দ্রুত খুজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চুরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ