বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২০ দলীয় জোট মেয়র পদপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, আইনী লড়াইয়ে জিতেছি। এখন মাঠের লড়াই শুরু হবে। যে কোন পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে থাকবো এবং জনগণের সহযোগিতায় ভোটের লড়াইয়েও বিজয়ী হব ইনশাআল্লাহ। শনিবার সকালে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি শনিবার টঙ্গীর বাসভবনেই ছিলেন। দিনব্যাপী সাক্ষাত করতে আসা ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের সাথে তিনি নির্বাচনী আলাপ-আলোচনা করেন।
সংবাদ কর্মীরা ছাড়াও শনিবার সকালে তার সাথে সাক্ষাত করতে আসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ২০ দলীয় জোটের মিডিয়া সেলের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. মাজহারুল আলম, গাজীপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, গাজীপুর মহানগর মহিলা দলের প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারা বেগম, টঙ্গী থানা বিএনপির প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহিম খান কালা, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক বীনা চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক খুরশিদা পারভিন সীমা, যুগ্ন সম্পাদক রেহানা বেগম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার, রুপালী বেগম প্রমুখ।
হাসান সরকার আরো বলেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার ঠেকাতে নির্বাচনী কার্যক্রমের প্রথম থেকেই নানা ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। গত ২৭ এপ্রিল নগরীর পূবাইল বাদুন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষের নির্বাচনী সভা থেকে মহানগর জামায়াতের আমির প্রিন্সিপাল এস.এম সানাউল্লাহসহ ৪৫ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ আটক করে। পরে তাদেরকে পেট্রোল বোমা ও ককটেল দিয়ে বিষ্ফোরক আইনের মিথ্যা মামলা সাজিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সম্ভবত পুলিশ এসব পেট্রোলবোমা ও ককটেল বানায় এবং যখনই ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের আটক করে তখনই এসব বিষ্ফোরক দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজানো হয়। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তিনি নিজেও এমন জঘন্য মিথ্যা মামলায় জেল খাটবেন তা কখনো কল্পনাও করেননি। তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের নামে এ পর্যন্ত যতগুলো মামলা হয়েছে প্রত্যেকটিই মিথ্যা। ইতিপূর্বে পুলিশ রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে পড়ে থাকা ভাংগা গাড়িতে আগুন দিয়ে মেয়র এম.এ মান্নান সাহেবসহ অসংখ্য নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এসব মিথ্যা মামলায় মেয়র মান্নানকে বহিষ্কার ও কয়েক দফায় জেলে বন্ধী রাখা হয়েছে।
সর্বশেষ গত ৬ মে নির্বাচন স্থগিতের পর কথিত ‘গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের’ সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগে আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে এবং ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসান সরকার এ যাবত গ্রেফতারকৃত ২০ দলীয় জোটের সকল নেতাকর্মীর নি:শর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বলেন, এসব অন্যায় আর সহ্য করা হবে না। আইনী লড়াই এখনো শেষ হয়নি। মাঠের লড়াইয়ের পাশাপাশি আইনী লড়াইও চালিয়ে যাব। গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না করলে আবারো উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।