নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : চলতি বছর বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফর যে হচ্ছে না অনেকটা নিশ্চিতই ছিল, আরেকটু খোলাসা হওয়া বাকি ছিল। এবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া পরিষ্কার করে জানিয়ে দিল বাণিজ্যিক কারণে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাতে পারছে না তারা।
আইসিসির করা ভবিষ্যৎ সূচি অনুযায়ী এই বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ২ টেস্ট ও ৩ ওয়ানডে খেলতে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। তবে সেসময় দেশটিতে ফুটবল মৌসুম থাকায় টেলিভিশন সত্ত¡ পেতে সমস্যা হচ্ছিল। ভরা ফুটবল মৌসুমের মাঝে এই সিরিজ স¤প্রচার করতে ব্রডকাস্টারদের আগ্রহ নাই দেখে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া সিরিজটিকে বাণিজ্যিকভাবে বাস্তবায়ন যোগ্য না বলে জানিয়ে দিয়েছে। ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সিইও জেমস সাদারল্যান্ড বলেন, সিরিজ বাতিলে সময়টাই একটা বড় কারণ। ওই সময় অস্ট্রেলিয়া মজে থাকে ফুটবল মৌসুমে। মানুষের আগ্রহও থাকে সেদিকে।
সেই ২০০৩ সালে একবারই অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ, সেটিও ক্রিকেট মৌসুমের বাইরে। সিরিজ আয়োজন করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলে, অনিয়মিত দুই ভেন্যু কেয়ার্নস ও ডারউইনে। এবারের সিরিজও হওয়ার কথা ছিল এই দুই ভেন্যুতে। কিন্তু সিএ জানিয়েছে, ফুটবলের জোয়ারের সময়ে এমন একটি সিরিজ আয়োজনের কোনো মানেই দেখছে না তারা।
সিরিজটি না হওয়ায় দুই বোর্ডের মধ্যে বিকল্প আলোচনা চলছে জানায় ক্রিকইনফো। ২০১৯ বিশ্বকাপের পর সিরিজটি বাংলাদেশে আয়োজন করা যায় কিনা, তা নিয়েই নাকি চলছে আলাপ। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর দাবি, অস্ট্রেলিয়া এই সিরিজ না খেলা পুষিয়ে দিতে চায় ২০১৯ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ সফরে এসে। বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘আমরা তাদের কিছু প্রস্তাব দিয়েছি এখন তাদের প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় আছি।’
কদিন আগে সিএ ১০০ কোটি অস্ট্রেলিয়ান ডলারের স¤প্রচার স্বত্বের চুক্তি করে ফক্স স্পোর্টস ও সেভেন নেটওয়ার্কসের সঙ্গে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেছে সেই চুক্তির আগেই। নতুন এই স¤প্রচার স্বত্বের চুক্তির সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটি স¤প্রচারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল কিনা, সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার ওয়েবসাইটে দেয়া সিএ’র এক মুখপাত্রের বরাতে গতকাল জানা গেল, ‘দুই বোর্ডই একমত হয়েছে যে বাতিল হওয়া সফরটি ভালোভাবে পুষিয়ে দেওয়া যায় অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে।’ সেটি কিভাবে, তা-ও জানাচ্ছে তাদের ওয়েবসাইটটি, ‘২০১৯ সালের বিশ্বকাপের পরের বছর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বসবে বিশ্ব টি-টোয়েন্টির আসর। তার আগে বাংলাদেশকে নিয়ে তিন জাতির ২০ ওভারের একটি সিরিজ খেলতে চায় অজিরা। ২০২০ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের মানিয়ে নিতে সহায়ক হবে ধরে নিয়ে এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছে তারা।’ তবে সিএ’র এই দাবি নাকচ করে বিসিবি সিইও বললেন অন্য কথা, ‘আমরা এখনও কোনো ফরমাল প্রস্তাব পাইনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার। ২০১৯ সালের এফটিপি নিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কাজ করছে। যেটা হচ্ছে সেটা প্রক্রিয়াধীন। এই ধরনের ফরম্যাল কমিউনিকেশন হয়নি।’
অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে একবারই পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ। সেটিও ১৫ বছর আগে ২০০৩ সালে। এরপর দুবার অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ সফর করলেও বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের বাইরে সেদেশে যাওয়া হয়নি টাইগারদের। ২০১৭ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশে খেলতে আসে অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্ট ম্যাচের সে সিরিজ ড্র হয়েছিল ১-১ ম্যাচে। তবে ওই সিরিজ নিয়েও বিসিবিকে পোড়াতে হয়েছে বেশ কাঠখড়। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে দুবার পিছিয়ে দেওয়ার পর উচ্চ পর্যায়ের সরকারি আশ্বাসে সফরে এসেছিল স্টিভেন স্মিথরা।
এই সফরটি বাতিল হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশের টেস্ট খেলার সুযোগ আসতে পারে হয়তো কেবল আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চালু হলেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।