রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নাটোর জেলা সংবাদদাতা : দক্ষিণ চলন বিলের বড়াইগ্রাম, গুরুদাসপুর ও চাটমোহর উপজেলায় বিনা হালে চাষ করা রসুন তোলার ধুম পড়েছে। বর্তমানে এ এলাকার মাঠে মাঠে নারী-পুরুষ এমনকি শিশুরাও নেমে পড়েছে রসুন তোলা, শুকানো ও পরিবহনের কাজে। এবার তুলনামূলকভাবে রসুনের ফলন কিছুটা কম হলেও ভালো দাম থাকায় চাষিরা বেশ খুশি। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে দক্ষিণ চলন বিলের তিন উপজেলায় মোট ২১ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে। তার মধ্যে বড়াইগ্রাম উপজেলায় ৯ হাজার ৩শ’ ৫০ হেক্টর, গুরুদাসপুরে ৭ হাজার ৩শ’ হেক্টর ও চাটমোহরে ৫ হাজার ২শ’ হেক্টর জমিতে রসুন চাষ করা হয়েছে। চাষকৃত জমি থেকে এবার কমপক্ষে ১ লাখ ৩১ হাজার ১শ’ মেট্রিক টন রসুন উৎপাদিত হবে। স্থানীয় কৃষকেরা জানান, এবার মৌসুমের শুরুতে বর্ষার পানি নামতে দেরি হওয়ায় রসুন বীজ রোপণে প্রায় এক মাস দেরি হয়েছে। এছাড়া শীত কম পড়াসহ বিভিন্ন কারণে এবার বিঘা প্রতি রসুনের ফলন ৫-৬ মণ কম হয়েছে। তবে ভালো দাম পাওয়ার আশায় বর্তমানে রসুন চাষিরা সকাল-সন্ধ্যা দিনমজুর ও স্ত্রী-পুত্রদের সাথে নিয়ে জমি থেকে রসুন তোলা, শুকানো ও বাঁধাই করে ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। এলাকায় কাজের চাহিদা অনুযায়ী মজুর না থাকায় গাইবান্ধা, রংপুর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত দিনমজুর এ এলাকায় এসে রসুন তোলার কাজ করছে। প্রতিদিন ভোরে রয়না ভরট, জালশুকা ও নয়াবাজারে বসছে দিনমজুরের হাট। এছাড়া রসুন তোলার কাজে ব্যস্ত থাকায় এলাকার স্কুল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী সংখ্যাও কমে গেছে বলে জানা গেছে। গোটা এলাকাতেই যেন রসুন তোলা, বাছাই, শুকানো ও ঘরে তোলার উৎসব চলছে। চকপাড়া গ্রামের রসুন চাষি আবুল হোসেন জানান, এবার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে এবার গড়ে ১৮-২০ মণ হারে রসুন পাওয়া যাচ্ছে। এতে অন্যান্য বছরের চেয়ে ৫-৬ মণ হারে ফলন কম পাওয়া গেছে। বিঘা প্রতি রসুন চাষে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ পড়েছে বলে তিনি জানান। বাজিতপুর গ্রামের রসুন চাষি জসিমউদ্দিন জানান, এবার ফলন কিছুটা কম হলেও রসুনের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য বছর মৌসুমের শুরুতে মণ প্রতি রসুনের দাম থাকে ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকা। এবার সেখানে প্রতি মণ কাঁচা রসুন ২২-২৫শ’ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থা থাকলে আগামীতে দাম আরো বাড়বে। ভালো দাম পাওয়ায় আমরা দারুণ খুশি। বড়াইগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইকবাল আহম্মেদ বলেন, এ অঞ্চলে বর্তমানে রসুন অন্যতম প্রধান ফসলে পরিণত হয়েছে। রসুন চাষে মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিবিড় তত্ত্বাবধান করা হয়েছে। ভালো দাম পাওয়ায় আগামীতেও চাষিরা অধিকহারে রসুন চাষে আগ্রহী হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।